ইয়াঙ্গুন: দেশের নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ করার অনুমতি দিয়ে একটি বিল পাস করেছে মিয়ানমার সংসদ।
বৃহস্পতিবার সংসদের উচ্চকক্ষের একজন সদস্য সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানান।
এ পদক্ষেপকে অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার জন্য খ্যাত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন এ দেশটিতে সাম্প্রতিক চলমান সংস্কার কর্মসূচির সর্বশেষ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এখন সেনা সমর্থিত সরকারের প্রেসিডেন্ট থিন সিন সই দিলেই এই বিলটি একটি আইন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।
মিয়ানমারের রাজনৈতিক দল রাখাইন ন্যাশনালিটিজ ডেভেলপমেন্ট পার্টি থেকে নির্বাচিত সংসদের উচ্চ কক্ষের সদস্য আই মং গণমাধ্যমকে বিলের ব্যাপারে বলেন, বিক্ষোভ করতে হলে কমপক্ষে পাঁচদিন আগে প্রশাসনকে জানাতে হবে।
প্রতিবাদের সময় বিক্ষোভকারীরা দলীয় প্রতীক এবং পতাকা বহন করতে পারবে। তবে সরকারি অফিস , বিদ্যালয়, হাসপাতাল এবং বিদেশি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা যাবে না বলে বিলটিতে উল্লেখ রয়েছে।
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নেতৃত্বে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের চার বছর পর গত সপ্তাহে বিলটি সংসদে আনা হয়। জাফরান বিপ্লব বলে অভিহিত ওই বিক্ষোভ তৎকালীন সামরিক সরকার অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে দমন করে।
সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন মিয়ানমারের নতুন সরকার পাঁচ দশকের প্রত্যক্ষ সেনাশাসনের পর গত জানুয়ারি মাসে দেশটির ক্ষমতায় আসে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচন বর্জন করে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি)।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও সেই নির্বাচনকে সাজানো বলে অভিহিত করে।
পরে অবশ্য দেশটির নতুন সরকার পশ্চিমের অবরোধের মুখে কিছু সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেয়। দীর্ঘদিনের আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতা কাটানোর জন্যই তারা এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে মনে করা হয়।
এই সংস্কারের অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দি সু চিকে মুক্তি দিয়ে তার দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে সরকার।
এছাড়াও বিভিন্ন নিপীড়নমূলক আইন এবং সংবাদপত্রের ওপর আরোপিত সেন্সরশিপ আংশিক প্রত্যাহার করা হয়েছে। শ্রমিকদের ধর্মঘট করারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১১