কলকাতা: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষ মাওবাদী নেতা কিষাণজি যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গে পশ্চিম মিদনাপুর জেলায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে এক ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন।
তবে কিষাণজি নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করতে পারেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘উদ্ধার করা মৃতদেহ খুব সম্ভবত কৃষাণজির। ’
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ঝাড়গ্রামে খুশবোনি জঙ্গলে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিনি নিহত হয়েছেন। পাশে একটি একে-৪৭ মেশিনগানসহ তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
যৌথ বাহিনীর একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, বন্দুক যুদ্ধের পর তার মৃতদেহ সনাক্ত করা হয়েছে।
৫৮ বছর বয়সী কিষাণজির আসল নাম মোলাজুলা কোতেসবার রাও। অন্ধ্রপদেশে জন্ম নেওয়া কিষাণজি মাওবাদী পলিটব্যুরোর সদস্য। নক্সাল আন্দোলনের থার্ড ইন কমান্ড কিষাণজি ২০০৯ সাল থেকে জঙ্গলমহলে সশস্ত্র অভিযানের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।
খবরে আরও বলা হয়েছে, কিষাণজির তিনজন সঙ্গীও এ অভিয়ানে নিহত হয়েছেন।
কিষাণজি এবং তার ঘনিষ্ঠ সহচরী সুচিত্রা মাহাতকে ধরতে ঝাড়গ্রামে যৌথ বাহিনীর ব্যাপক অভিযান চলছিল। অভিযানে সুচিত্রা ও অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তারা বলেছেন, অভিযান বৃহম্পতিবার সকালে ঝাড়খণ্ড সীমান্তের নিকটে বুরিসোল জঙ্গলে শুরু হয়।
এর আগে, পার্শ্ববর্তী গোসাইবন্দ গ্রামে অভিযান চালিয়ে একটি ল্যাপটপ, কিষাণজি এবং সুচিত্রার লেখা কিছু চিঠি এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
দুই বছর আগেও এই মাওবাদী নেতার মৃত্যুর খবর বের হয়েছিল। তবে পরে জানা যায়, তিনি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার নক্সাল বিরোধী অভিযান জোরদার করেছে। কৃষাণজি যদি সত্যিই নিহত হন তাহলে এটা যৌথ বাহিনীর বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করতে পারে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১১