কায়রো: শুক্রবার কায়রোর তাহরির স্কয়ারে জড়ো হওয়া হাজার হাজার জনতা দেশটির নব নিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী কামাল আল- গানজুরিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। পাশাপাশি তারা দেশটির সামরিক পরিষদেরও পদত্যাগ দাবি করেছে।
আগামী সোমবার দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক সুপ্রিম পরিষদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী কামাল আল-গানজুরিকে (৭৮) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়।
কামাল এর আগেও গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের আমলে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
গানজুরি এর আগে হোসনি মোবারকের শাসনামলে ১৯৯৬-৯৯ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পরে টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে গানজুরি বলেন, এ সপ্তাহের শেষের দিকে তিনি তার মন্ত্রিপরিষদ গঠন করবেন। এতে তরুণদের মধ্যেও অনেকে দায়িত্ব পাবেন বলে জানান গানজুরি।
অর্ন্তবর্তী সময় থেকে গণতন্ত্র উত্তরণের পথে তিনি (গানজুরি) নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কোন লোক নয় বলে বিক্ষোভকারীরা তার নিয়োগ প্রত্যাখান করেছে।
ওমর আবদেল মনসুর নামের একজন বিক্ষোভকারী জানান, ‘সেনা পরিষদ কর্তৃক মনোনীত কাউকে আমরা চাই না। বিপ্লবের সময়ে তাহরির স্কয়ারে আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং জনগণের প্রতি যার আস্থা আছে আমরা এমন একজন বেসামরিক লোককে চাই। ’
মন্ত্রিপরিষদ ভবনের কাছে শত শত জনতা ‘গানজুরিকে নিয়োগ দেওয়া, বিপ্লবের আগের সময়ে ফিরে যাওয়া’ বলে গানজুরির বিপক্ষে সেøাগান দেয় এবং তার প্রবেশ পথে অবরোধ তৈরি করে।
মোহাম্মেদ খাত্তাব নামের আরেকজন বিক্ষোভকারী বলেন, ‘তাহরির স্কয়ারের বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করে। কিন্তু তাদের মধ্য থেকে কাউকে নিয়োগ দেয়নি সামরিক পরিষদ। কোন কিছুরই পরিবর্তন হয়নি। প্রথম আন্দোলনের সময়ে আমাদের ভুল ছিলো আমরা শুধু মোবারককে ক্ষমতাচ্যুত করতে চেয়েছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১১