ঢাকা: জার্মানির একনায়ক অ্যাডলফ হিটলারকে সবাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের খলনায়ক হিসেবেই জানে। তার কথা আসলেই চোখে ভেসে ওঠে হত্যা আর নৃশংসতার ভয়াবহ চিত্র।
তবে এই নিষ্ঠুর হিটলারের অন্য এক রূপ অনেকের জানা নেই। তরুণ বয়সে যখন তিনি কয়েক মাস লন্ডনে ছিলেন তখনকার হিটলার আর জার্মানির চ্যান্সেলর হিটলারের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক।
১৯১২ সালে ২৩ বছর বয়সে হিটলার একবার লন্ডনে এসেছিলেন সৎ ভাই অ্যালুইসের সঙ্গে দেখা করতে। অ্যালুইস তখন লিভারপুলের টক্সটিথে থাকতেন। তিনি লন্ডনে ছিলেন দীর্ঘ পাঁচ মাস।
লন্ডনে খুব আনন্দময় এক সময় পার করেছেন তিনি। পানশালায় বসে লিটার লিটার মদ গিলেছেন। এক প্রকার লন্ডনের প্রেমেই পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রেমে পড়েছিলেন টাওয়ার ব্রিজের। এমনও হয়েছে, ঘুষ দিয়ে টাওয়ারের ইঞ্জিন ঘরেও ঢুকেছিলেন তরুণ উচ্ছ্বল হিটলার।
হিটলারের শ্যালিকা ব্রিজিত স্মৃতি হাতরে বলেন, তিনি সব সময় অস্ট্রিয়ান সেনাবহিনীকে এড়িয়ে চলতেন। কারণ সেনাবাহিনীতে কখনও কাজ করার ইচ্ছা তার ছিল না।
হিটলার স্বনির্ভর থাকতে পছন্দ করতেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডন ঘুরে যাওয়ার জন্য ভাই অ্যালিস তাকে টাকা পাঠাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি টাকা নিতে রাজি হননি। নিজের উপার্জিত অর্থ নিয়ে লন্ডন আসেন।
তবে সেনাবাহিনীকে এড়িয়ে চলার ব্যাপারে অ্যালুইস একটু ভিন্ন কথা বলেছেন। ব্রিজিতকে তিনি বলেন, অ্যাডলফ সেনাবাহিনী থেকে ১৮ মাস ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ কারণে সে লন্ডন এসেছিল। এছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না তার।
১৯১৩ সালে জার্মানির উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন হিটলার। ট্রেনের টিকেটটা অবশ্যেএবার অ্যালুইসই তাকে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১১