কায়রো: আমেরিকার বিরুদ্ধে এবার আরো ভয়াবহ হামলা শুরুর হুমকি দিল আল কায়েদা। এসব হামলার ব্যাপকতা এত বেশি হবে যে, আগের চেয়ে বেশি আমেরিকান সেনা মারা যাবে।
২৪ মিনিটের এ ভিডিও বার্তার মূল বিষয় ছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওবামার পরাজয়। এর মধ্যে রয়েছে ম্যাসাচুসেট্স এর বিধানসভা নির্বাচনে রিপাবলিকানদের কাছে সাম্প্রতিক হার।
ভিডিও বার্তাটিতে এডাম গেডানকে সাদা আলখাল্লা ও পাগড়ি পরা অবস্থায় দেখা যায়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরিতা অবসানের জন্য কিছু শর্ত দিয়েছেন। ইসরায়েলকে অন্ধ সমর্থন দেওয়া বন্ধ করা, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা এসব শর্তের মধ্যে আছে।
গেডান বলেন, “এ পর্যন্ত যত মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে তার সঙ্গে আমাদের হাতে নিহত আমেরিকানদের সংখ্যা মিলিয়ে দেখলে তা হবে অতি নগন্য। এ থেকে এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে, আমরা এখনো তাদের ধারেকাছেও যেতে পারিনি। ”
“এজন্যই এখনো পর্যন্ত আমরা যে আত্ম নিয়ন্ত্রণ আর সংযম দেখিয়ে এসেছি পরের বার সেটা নাও দেখাতে পারি” একথার মধ্য দিয়ে গেডান স্মরণ করিয়ে দেন আলকায়েদা যদি পরাজিতও হয়, তাহলেও ‘‘কোটি কোটি মুসলমান” আমেরিকার সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাবে।
এর আগেও আলকায়েদা গত ২০০৭ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশের কাছে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছিল। সেখানে তাদের শর্তের মধ্যে ছিল সব মুসলিম বন্দিকে মুক্তি দেয়া, মধ্যপ্রাচ্যের তাবেদার সরকারগুলোকে দেওয়া মার্কিন সহায়তা বন্ধ করা। সাম্প্রতিক ভিডিও বার্তাটিতে আলকায়েদা সেইসব শর্তই নতুন করে উত্থাপন করেছে।
গেডানের বার্তাটি ছিলো ওবামার প্রতি তার ব্যঙ্গ-বিদ্রুটে ঠাসা। এতে তিনি ওবামাকে “মুসলিম নামধারী শঠ, চতুর, এড়িয়ে যেতে সচেষ্ট এবং সাপের ভয়ংকর এক মার্কিন প্রেসিডেন্ট” বলে মন্তব্য করেন। তাঁর কথার ধরণে মনে হয় হয় তিনি ওবামার পরাজয় উপভোগ করছেন।
“একবছর বা তার আগের মতো জনপ্রিয় ব্যক্তি আপনি আর নেই” বলেন গেডান। ওবামার জনপ্রিয়তার ঘাটতিকে তিনি বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের শুরু করা যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসাবে উল্লেখ করেন।
গেডাহনকে ২০০৪ সাল থেকে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই খুঁজছে। তাঁকে গ্রেপ্তার বা দোষী সাব্যস্ত করতে পারে এরকম তথ্যের জন্য ১০লাখ ডলার পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়:১৬০০ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১০
ডিসি/জেএম