কুয়েত সিটি: কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর মন্ত্রিসভাও পদত্যাগ করেছে। সোমবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ খবর জানিয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগেই প্রধানমন্ত্রী পদতদ্যাগ করেছেন বলে দাবি করছেন বিক্ষোভকারী এবং বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।
কুয়েত টিভি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ নাসের মোহাম্মদ আল আহমদ আল সাবাহ আমিরের কাছে পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন। তবে আমির তা গ্রহণ করেছেন কি না সে ব্যাপারে আর নিশ্চিত করা হয়নি।
এর আগে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য খালেদ আল সুলতান বলেন, ‘বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে তিক্ত রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে মন্ত্রিসভার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়েছে। ’
খালেদ পার্লামেন্টের বাইরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আগে আমরা নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের অপেক্ষায় আছি। ’
তবে পার্লামেন্টের স্পিকার জাসেম আল খোরাফি বলেছেন, পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ার ব্যাপারে তাকে কিছু জানানে হয়নি।
তবে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে, আমির প্রধানমন্ত্রীর পদ্যতাগ পত্র গ্রহণ করেছেন। এখন নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার আগে তিনি সংসদ ভেঙেও দিতে পারেন।
বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর এই পদত্যাগকে স্বাগত জানিয়েছে।
কুয়েতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সঙ্কট নিয়ে আমিরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীরে নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর পরই এই পদত্যাগের খবর এল।
কুয়েতে রাজনৈতিক সঙ্কট শুরু হয়েছে মূলত বর্তমান মন্ত্রিপরিষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে। বিরোধী দলীয় তিন জন সংসদ সদস্য পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা প্রতারণা এবং জনগণের অর্থ বিদেশে নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন।
তবে সরকার সব সময়ই এইসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে সোমবার বিকেলেও পার্লামেন্টের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ নাসের কুয়েতের আমিরের ভাতিজা। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নানা সময় রাজনৈতিক বিতর্কের কারণে এবার নিয়ে সাতবার পদত্যাগ করেছেন তিনি।
একই সময়ের মধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে মোট তিন বার।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১১