লন্ডন: ইরান থেকে সব কূটনৈতিক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে ব্রিটেন। বুধবার একটি কূটনৈতিক সূত্র একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে এই কথা জানিয়েছে।
গত মঙ্গলবার তেহরানে ব্রিটেনের দূতাবাস এবং দূতাবাসের একটি আবাসিক কম্পাউন্ডে হামলার ঘটনার পর দূতাবাস বন্ধ করে দিল ব্রিটেন।
এই ঘটনাকে ‘অবমাননাকর’ বর্ণনা করে এর ফলাফল খুব ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ব্রিটেন। ইরান থেকে সব কূটনৈতিক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের পর তাৎক্ষণিকভাবে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ব্রিটেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই হামলার জন্য দায়ীদের আটক করার জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলা করে একদল বিক্ষাভকারী। এ সময় তারা দূতাবাসে ভাঙচুড় চালায় এবং ব্রিটেনের পতাকা নামিয়ে সেখানে ইরানের পাতাকা টানিয়ে দেয়। তারা পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং গাড়িও জ্বালিয়ে দেয়।
এ সময় হামলাকারীরা দূতাবাসের ৬ কর্মকর্তাকে জিম্মি করে বলেও জানা যায়।
ইরানে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এই হামলার ভিডিও সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। তাতে দেখা যায়, অর্ধশতাধিক হামলাকারী দূতাবাসের জানালা লক্ষ্য করে ঢিল ও পাথর ছুড়ে কাচ ভেঙে ফেলছে। তাদের মধ্যে একজনকে ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের একটি পোর্ট্রেট ছবি নিয়ে দেয়াল বেয়ে নামতে দেখা গেছে।
দূতাবাসে হামলাকারীদের বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
ইরনের পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বিতর্কের জেরে কয়েক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ব্রিটেন ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ করছে ইরানে জনগণ।
এর আগে ব্রিটেনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাসের ব্যাপারে আনা একটি খসড়া বিল অনুমোদন দিয়েছে ইরানের পার্লামেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১১