ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ল্যাপটপে ওয়াইফাই: পুরুষ সাবধান!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩২, নভেম্বর ৩০, ২০১১
ল্যাপটপে ওয়াইফাই: পুরুষ সাবধান!

ঢাকা: আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি পুরুষের সঙ্গে নাকি নিষ্ঠুর রসিকতা করছে। মানুষের শুক্রাণুর ওপর তারবিহীন ইন্টারনেট ওয়াইফাইয়ের প্রভাব নিয়ে সর্ব সাম্প্রতিক একটি পর্যবেক্ষণে এমন ফলাফলই মিলেছে।



ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টেরিলিটি নামে একটি প্রভাবশালী বিজ্ঞান সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন দাবিই করেছেন আর্জেন্টিনার একদল বিজ্ঞানী।

বিজ্ঞানীরা ২৯ জন সুস্থ পুরুষের শুক্রাণুর নমুনা নিয়ে ওয়াইফাই সংযোগ আছে এমন একটি ল্যাপটপের কাছাকাছি রাখেন। আর বাকি অংশ একটু দূরে একই তাপাত্রায় রাখেন। এরপর ল্যাপটপটিতে তারা ফাইল ডাইনলোড করতে থাকেন।

চার ঘণ্টা পর দেখা গেলো, চারভাগের একভাগ শুক্রাণু আর সাঁতার কাটছে না। তারা নিশ্চল পড়ে রয়েছে। দূরে রাখা শুক্রাণুর নমুনার তুলনায় এই নিশ্চল শুক্রাণুর পরিমাণ ১৪ শতাংশ। এর মধ্যে ৯ শতাংশ শুক্রাণুর ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পরিমাণ দূরে রাখা নমুনায় ক্ষতিগ্রস্ত শুক্রাণুর তিনগুণ।

এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন করদোবার ‘নাসেনতিস মেডিসিনা রিপ্রোদাকতিভা’র বিজ্ঞানী কনরাদো আভেন্দানো এবং তার সহকর্মীরা। তারা বলছেন, তারবিহীন ইন্টারনেট সংযোগের সময় যে তড়িৎচৌম্বুকীয় বিকিরণ বের হয় তার কারণেই শুক্রাণু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

তারা বলছেন, প্রাপ্ত উপাত্ত থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, ল্যাপটপে তারবিহীন ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার এবং তা পুরুষের যৌনাঙ্গের কাছাকাছি রেখে ব্যবহার মানুষের শুক্রাণুর কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।

সর্ব সাম্প্রতিক এই গবেষণার ফল পূর্বে বিকিরণ নিয়ে বিজ্ঞানীদের উদ্বেগে আরেক মাত্রা যোগ করল। এর আগে অনেকে দেখেছিলেন, মোবাইল ফোনের বিকিরণ শুক্রাণুকে দূর্বল করে দেয়।

গত বছর ইউরোলজিস্টের একটি গ্রুপ দেখিয়েছে, উরুর উপর ল্যাপটপ রেখে ব্যবহার করলে তা থেকে বিকিরিত তাপ শুক্রাশয়ের (অণ্ডকোষ) তাপমাত্রা এমন মাত্রায় বাড়িয়ে দেয় যা শুক্রাণুর জন্য ক্ষতিকর।

সুতরাং আধুনিক বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে যে তাপ এবং তেজস্ক্রিয় বিকিরণ বের হয় তা মানুষের অণ্ডকোষের জন্য কতোটা ক্ষতিকর তা এক প্রকার প্রমাণিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।