লন্ডন: সরকারি পেনসনের একটি সংস্কার প্রস্তাবের প্রতিবাদে সর্বাত্মক ধর্মঘট শুরু করেছে ব্রিটেনের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ব্রিটেনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ইউনিয়নগুলোর অভিযোগ, সরকার তাদের কাছ থেকে আরও আদায় করতে চাচ্ছে এবং পেনসন পাওয়ার জন্য আরও দীর্ঘ সময় কাজ করিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
নতুন সংস্কার প্রস্তাবে সরকারি কর্মচারীদের অবসরের সময় আরও দীর্ঘ করার কথা বলা হয়েছে। এর পক্ষে সরকার বলছে, এই সংস্কারের দরকার আছে কারণ, মানুষের আয়ু বেড়েছে সেই সঙ্গে সরকারি খাতে পেনসন দেওয়া সরকারের সামর্থের বাইরে চলে গেছে।
এর আগে প্রায় ২০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় ইউনিয়নগুলো। এই কারণে ব্রিটেনের স্কুল, হাসপাতাল, বিমানবন্দর, স্থল ও সমুদ্র বন্দর এবং সরকারি বিভিন্ন অফিসের কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিটেনজুড়ে এক হাজারেরও বেশি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে সরকারি কর্মচারীরা।
এই ঘটনাকে ব্রিটেনের গত ৩০ বছরের ইতিহাসে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবচে বড় কর্মবিরতি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামরনের কার্যালয় ১০নং ডাউনিং স্ট্রিট এই বিক্ষোভ আয়োজনের প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ‘এতে কোনও লাভ হবে না। ’ এ ব্যাপারে আরও আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিট।
ব্রিটেনের মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী ফ্রান্সিস মাউড কর্মচারীদের এই পদক্ষেপকে অগ্রহণযোগ্য এবং ভুল বলে বর্ণনা করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে তিনি ইউনিয়ন নেতাদের কথায় কান না দিতে সরকারি কর্মচারীদের পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে, পাসপোর্ট কন্ট্রোল অফিসের কর্মচারীদের ধর্মঘটের কারণে বিমানবন্দরে ভীড় বেড়ে যাওয়া এবং ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ার আশঙ্কায় ব্রিটেনের সবচে ব্যস্ত বিমানবন্দর হিথ্রোর ফ্লাইট কমিয়ে আনা হয়েছে।
কিছু দূতাবাস থেকে ইতোমধ্যে কিছু কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে এনে অন্য বিভাগ থেকে সেখানে স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
গত মঙ্গলবার ব্রিটেনের অর্থনীতির একটি আশঙ্কাজনক ভবিষ্যৎবাণীর প্রতিক্রিয়ায় সরকার বলছে, বাজেট ঘাটতি কমাতে সরকারকে আরও ব্যয় সঙ্কোচণ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১১