বুধবার (২৯ মে) ইউএই সফরকালে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
জন বোল্টন বলেন, ক্ষতির উদ্দেশে উপসাগরের জাহাজগুলোতে হামলার পেছনে ইরানই রয়েছে।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওও এ হামলার পেছনে ইরানই রয়েছে বলে একই দাবি করেছেন।
সৌদি আরব কিংবা সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) কর্তৃপক্ষ এ হামলার পেছনে ইরানকে দায়ী করেনি। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
তবে এ দায়কে অস্বীকার করে তেহরান কর্তৃপক্ষ বলছে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এ হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন।
এর আগে ১২ মে ইউএইর ফুজাইরাহ বন্দর সংলগ্ন উপসাগরে ‘ক্ষতির উদ্দেশে’ কয়েকটি দেশের চারটি বাণিজ্যিক জাহাজকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে আরব আমিরাত। এতে সৌদি আরবের দু’টি তেলবাহী জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে পরে জানায় রিয়াদও।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান, দেশ দু’টির মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। দেশ দু’টি একে অপরকে হুমকিও দিয়ে আসছে। কূটনৈতিক সুবিধাসহ সার্বিক বিবেচনায় সামরিক শক্তিতে কোনো দেশই কারো থেকে কম নয়। কোনো ধরনের উস্কানি পেলে মুহূর্তেই দেশ দু’টির মধ্যে যুদ্ধও বাঁধতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই। তবে সে ধারণা উড়িয়ে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৯
এসএ/