বুধবার (২৯ মে) স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নৌকাটিতে ৩০ জন পর্যটক ও দুই হাঙ্গেরিয়ান ত্রু ছিলেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
জানা যায়, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ইউরোপের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী দানিউবে পানির উচ্চতা বৃদ্ধিসহ প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ভাষায় ‘হাবেলানী’ বা মৎস্যকন্যা নামে পরিচিত নৌকাটি বুধবার রাতে সংসদ ভবনের কাছে ডুবে যায়। দোতলা নৌকাটিতে ৪৫ জন দর্শনার্থীর জায়গা হতো।
দুর্ঘটনায় জড়িত আরেকটি জাহাজ সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। নৌকাডুবির কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
হাঙ্গেরিয়ান ন্যাশনাল শিপিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ইমরে হোর্বাথ সংবাদ সংস্থা এমটিআই’কে বলেন, আমার বিশ্বাস, মানুষের ভুলের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, বুধবার (২৯ মে) নৌকাডুবিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সাত নাগরিক নিহত ও ১৯ জন নিখোঁজ থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
হতাহতদের পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার পাশপাশি ঘটনাস্থলে সরকারি কর্মকর্তাদের একটি দল পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
পর্যটক দলটিকে হাঙ্গেরি পাঠানো ট্রাভেল এজেন্সির মুখপাত্র সিউলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, নিখোঁজদের মধ্যে অন্তত একটি শিশু রয়েছে।
হাঙ্গেরিয়ান উদ্ধারকারী দলের মুখপাত্র পল জিওরফি বলেন, নৌকাডুবির পর সাতজনকে নদী থেকে তোলা হয়েছে। আতঙ্কিত ও হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাঙ্গেরিয়ান পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিখোঁজদের মধ্যে ট্যুর গাইড বা ক্রু আছে কি-না তা নিশ্চিত নয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল থেকেই নিখোঁজদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকায় উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বেশ কয়েকটি নৌকা, স্পটলাইট, রাডার প্রভৃতি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর মার্গারেট ব্রিজের কাছে ডুবে যাওয়া নৌকাটির ধ্বংসাবশষে পাওয়া গেছে।
সময় যত গড়াবে, নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা তত কমে যাবে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দক্ষিণ বুদাপেস্টে দানিউব নদীর ওই অংশে সবধরনের নৌ-চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় মর্মান্তিক ফেরি দুর্ঘটনায় ৩০৪ শিক্ষার্থী নিহত হয়। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ফেরির অননুমোদিত নকশা, অতিরিক্ত মালামাল বহন, অনভিজ্ঞ চালক ও সরকারের তদারকির অভাবকে দায়ী করা হয়েছিল।
পরে, ফেরিটির ক্যাপ্টেনকে হত্যার অভিযোগ দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৯
একে