সোমবার (৩ জুন) তিনদিনের সফরে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন ট্রাম্প দম্পতি। এবারের সফরে দেশদু’টির মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
জানা যায়, তিনদিনের সফরে সোমবার যুক্তরাজ্যে পৌঁছালে বিমানবন্দর থেকেই ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানানো শুরু হয়। এরপর সেখান থেকে রাজ পরিবারের বাসভবন বাকিংহাম প্যালেস গার্ডেনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান ট্রাম্প। বাকিংহাম পৌঁছালে ট্রাম্পকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
পরে প্যালেসেই রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজ করেন ট্রাম্প ও তার স্ত্রী। এরপর বিকেলের দিকে লন্ডনের প্রধান গির্জা ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে গিয়ে নিহত যোদ্ধাদের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন ট্রাম্প। সেসময় প্রিন্স চার্লসও ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) অর্থাৎ সফরের দ্বিতীয় দিনে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জানা যায়, লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও টেরিজা মে সকালের নাস্তা করবেন। পরে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় তাদের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দেশটির ব্যবসায়ীরাও থাকবেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের পরবর্তী উত্তরসুরী কে হবেন এবং ব্রেক্সিট- এ দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে।
বর্তমানে ব্রেক্সিট ইস্যুতে টানাপড়েন চলছে ব্রিটেনে। এ ইস্যুতে ইতোমধ্যে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন টেরিজা মে। আগামী ৭ জুনই তার প্রধানমন্ত্রীত্বের শেষ দিন।
তবে যুক্তরাজ্য সফরের আগে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, টেরিজা মের পদত্যাগের পর তার দল কনজারভেটিভ পার্টির বরিস জনসনকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান তিনি।
বৈঠক শেষে ট্রাম্প ও মে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানা গেছে।
পরবর্তীতে বুধবার (৫ জুন) অর্থাৎ সফরের শেষ দিনটি মূলত ডি-ডে ল্যান্ডিংয়ের ৭৫তম বার্ষিকীর স্মরণ উৎসব উদযাপনে ব্যয় করবেন তিনি। এছাড়া এদিন রাজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও আরেকটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেবার কথা রয়েছে তার।
এর আগে ২০১৮ সালেও ট্রাম্প যুক্তরাজ্যে সফরে গিয়েছিলেন। তবে এটিই তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। যুক্তরাজ্যে সরকারপ্রধানের আমন্ত্রণে কেউ গেলে সেটা হয় সরকারি সফর। আর রানির আমন্ত্রণে গেলে সেটা হয় রাষ্ট্রীয় সফর।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৯
এসএ/