সম্প্রতি মধ্য প্রদেশের দেবাস জেলার পুঞ্জাপুরা বনাঞ্চলে ছাগল চরাতে গিয়ে একাধিক বানরের মরদেহ দেখতে পায় এক কিশোর। সে বিষয়টি স্থানীয়দের জানালে তারা বন বিভাগে খবর দেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, জেলা বন কর্মকর্তা পিএন মিশ্রর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে যায় একটি তদন্ত দল। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সেখানকার একটি গুহার ভেতরে-বাইরে নয়টি বানরের মরদেহ পাওয়া যায়। শুক্রবার (৭ জুন) পাওয়া যায় আরও ছয়টি মরদেহ।
জেলা বন কর্মকর্তা কলেন, ১৫টি বানরের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চলছে। পানির জন্য লড়াইসহ সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, এ দলটিতে ৩০ থেকে ৩৫টি বানর ছিল। এ এলাকায় এ ধরনের আরও পাঁচ-ছয়টি দল রয়েছে।
গরমে নদীর পানি শুকিয়ে গেলেও, বনের ছোট ছোট খাল ও গর্তগুলোতে এখনো পানি পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান এ বন কর্মকর্তা।
পিএন মিশ্র বলেন, পানির এ এলাকাটি সম্ভবত বানরের বড় কোনো দল দখলে নিয়েছে। হতে পারে, তারা ছোট দলটিকে ভয় দেখিয়ে গুহার বাইরে আসতে দেয়নি। এতে, পানি না পেয়ে হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে বানরগুলো মারা গেছে।
পুঞ্জাপুরার সরকারি পশুচিকিৎসক ডা. অরুণ মিশ্র বলেন, ময়নাতদন্তে দেখা গেছে, বানরগুলো হাইপারথারমিয়া বা হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
তৃণভোজী প্রাণীদের মধ্যে এ ধরনের দ্বন্দ্বের ঘটনা বেশ বিরল বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৯
একে