রোববার (৯ জুন) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
আগামী ১৩ ও ১৪ জুন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দিতে কিরগিজস্তানের রাজধানী বিসকেকে যাবেন নরেন্দ্র মোদী।
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে জইশ-ই-মুহম্মদের জঙ্গিঘাঁটিতে (ভারতের দাবি) ভারত বিমান হামলা চালানোর পর থেকেই এ অঞ্চলের আকাশসীমা বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। এরপর থেকে দেশটি মাত্র দু’টি রুট উন্মুক্ত করেছে।
মোদী সরকারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, আমরা পাকিস্তানকে অনুরোধ জানিয়েছি, যেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্লেনকে চালু না হওয়া যেকোনো একটি রুট ব্যবহার করে এসসিও সম্মেলনে যেতে দেওয়া হয়।
গত ২১ মে তৎকালীন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে বহনকারী প্লেনকে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করে বিসকেকে এসসিও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যেতে দেওয়া হয়।
পরে, গত ৩১ মে বালাকোটে বিমান হামলা পরবর্তী সাবধানতার প্রেক্ষিতে ভারতের আকাশসীমায় জারি করা সাময়িক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় দেশটির বিমানবাহিনী।
তবে, পাকিস্তান তার আকাশসীমা উন্মুক্ত না করায় এতে ভারতের বাণিজ্যিক এয়ারলাইন্সগুলোর কোনো লাভ হয়নি। পাকিস্তানের নিষেধাজ্ঞার কারণে এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগোর মতো এয়ারলাইন্সগুলো বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছে।
পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ থাকায় ইন্ডিগো দিল্লি-ইস্তানবুল সরাসরি ফ্লাইট চালাতে পারছে না। এর বদলে, প্রতিবার আরব সাগরের ওপর দিয়ে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে তাদের দোহা অথবা আহমেদাবাদে জ্বালানির জন্য থামতে হচ্ছে।
একইভাবে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিরতিহীন দিল্লি-যুক্তরাষ্ট্র ফ্লাইটও বন্ধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৯
একে