কায়রো: মিশরে গত সপ্তাহের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের প্রথম দফায় বেশিরভাগ প্রার্থীই দ্বিতীয় দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার করার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তবে ভোট পড়েছে বেশ উৎসাহব্যাঞ্জক, ৬২ শতাংশ।
সংসদের নিম্নকক্ষের এ নির্বাচন তিন দফায় হবে। পরবর্তী দুই দফা আগামী দুই মাসের মধ্যে হওয়ার কথা রয়েছে।
ফলাফল ঘোষণায় জানা যাচ্ছে, বেশিরভাগ প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দ্বীতায় টিকে থাকার মতো ভোট পাননি। এ কারণে সামগ্রিক ফলাফল কি দাঁড়াবে তা অস্পষ্ট। সর্বসাকুল্যে চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মিশরে গত ৬০ বছরের মধ্যে এই প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে ইসলামপন্থীরাই পার্লামেন্টে সংখ্যা গরিষ্ঠ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মুসলিম ব্রাদারহুড একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অন্য মৌলবাদী দলগুলোও ভাল করবে বলেই মনে হচ্ছে।
শনিবার নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা প্রত্যেকটি আসন ধরে ধরে ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে দেখা যায়, বেশিরভাগ প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দ্বীতায় টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। এরা দ্বিতীয় দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
সেনা সমর্থিত রাজনৈতিক নেতারা এর আগে ধারণা করেছিলেন, নির্বাচনে ৭০ শতাংশ ভোট পড়বে। কিন্তু ভোট গণনা শেষে দেখা যাচ্ছে, ভোট পড়েছে মোট ৬২ শতাংশ।
তবে ভোট কেন্দ্রে ভোটরদের উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো। ভোট দানের জটিল নিয়ম-কানুন, উচ্চ নিরক্ষরতা হার এবং প্রায় কোনও ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা ছাড়াই মানুষ বেশ উৎসাহের সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন।
ভোট কেন্দ্রে জরিপ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, মুসলিম ব্রাদারহুড বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। তাদের শাখা সংগঠন ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (এফজেপি) ৩০ শতাংশ ভোট পাবে।
এফজেপি আবার কয়েকটি ছোট দলের সঙ্গে জোট বেধেছে। এই ঐক্যজোট একত্রে ৪০ শতাংশ ভোট পেতে পারে।
অপর একটি দল আল নূর পার্টি ২০ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অপরদিকে, সালাফি অনুসারি কট্টরপন্থী ইসলামি দলগুলোর অবস্থাও খারাপ নয়।
আগামী দফার নির্বাচন ২০১১ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে,নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সময় কয়েক হাজার মিশরীয় কায়রোর তাহরির স্কয়ারে জড়ো হয়। এখানে গত সপ্তাহে বিক্ষোভের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ৪২ জন বিপ্লবীকে সম্মান জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১১