বৈরুত: সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী এবং দলত্যাগী সেনাদের সঙ্গে শুক্রবার রাতভর সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে।
শনিবার সকালে সিরিয়ার মানবাধিকার কর্মীরা সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
সিরিয়ার সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সহিংসতার তীব্রতা বেড়েই চলেছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারি দমন পীড়নের প্রতিবাদে পক্ষত্যাগী সরকারি সেনাদের সঙ্গে বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনীর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘর্ষের ঘটনা বেড়ে গেছে। এর ফলে সিরিয়ার আট মাস পুরনো সরকার বিরোধী আন্দোলন নতুন মাত্রা পেয়েছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন জানায়, তুরস্কের সীমান্ত সংলগ্ন সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় ইদলিব শহরের কাছে শুক্রবার দিবাগত রাতে সংঘর্ষের সূচনা হয়।
সংঘর্ষে একজন সেনা কর্মকর্তাসহ সাত জন সেনাসদস্য ও পাঁচজন সেনাবাহিনীর ছেড়ে বিক্ষোভে যোগ দেওয়া সেনাসদস্য নিহত হয়। এছাড়াও এ ঘটনায় তিন জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয় বলে তারা জানায়।
চলতি বছর মার্চে শুরু হওয়া আসাদবিরোধী বিক্ষোভে কমপক্ষে চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে জাতিসংঘ তাদের এক সমীক্ষায় জানায়।
এদিকে, সরকার বিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে গিয়ে রক্তক্ষয়ের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সিরিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে ক্রমেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।
সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধ এবং বিরোধীদের সঙ্গে অবিলম্বে আলোচনা শুরু করার জন্য চাপ দিতে বাশার আল আসাদের সরকারের ওপর ইতিমধ্যেই আরব লীগ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন অবরোধ আরোপ করেছে।
তবে বাশার সরকার তাদের দাবীকে প্রত্যাখান করে বলেছে, বিদেশি মদদ পুষ্ট সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দেশে গৃহযুদ্ধ বাধানোর পাঁয়তারা করছে। কর্তৃপক্ষ আরও অভিযোগ করে, সন্ত্রাসীরা গত মার্চ মাস থেকে সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে এ পর্যন্ত ১১ শতাধিক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১১