ঢাকা: মহাগজরা আবারও পৃথিবীর বুকে হেঁটে বেড়াবে। ম্যামথ নামে পরিচিত লম্বা লোম আর দাঁত বিশিষ্ট বিলুপ্ত প্রজাতির এই হাতির পৃথিবীতে পুনরাবির্ভাবের খবরটি দিয়েছেন রুশ ও জাপানি বিজ্ঞানীরা।
দশ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এই অতিকায় প্রাণীটিকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে বলে দাবি করছেন তারা।
রাশিয়ার সাখা রিপাবলিকের ম্যামথ জাদুঘর এবং জাপানের কিনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মিলে আগামী বছরেই এ নিয়ে একটি যৌথ গবেষণা শুরু করার কথা রয়েছে।
এটি সম্ভব হবে অত্যাধুনিক ক্লোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ১৯৯৬ সালে ডলি নামে একটি ভেড়ার ক্লোন করার মাধ্যমে এই প্রযুক্তির বিস্ময় প্রত্যক্ষ করেছে মানুষ।
সাইবেরিয়ার কঠিন বরফে সংরক্ষিত অবস্থায় উদ্ধার করা ম্যামথের একটি উরুর হাড় থেকে ডিএনএ নিয়ে ক্লোন করা হবে।
রুশ এবং জাপানি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই হাড়ের বোন মেরোর সেল একটি সাধারণ হাতির ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াসে প্রতিস্থাপন করা হবে। এভাবে ম্যামথের ডিএনএ বিশিষ্ট ভ্রুণ তৈরি করা যাবে। এই ভ্রুণটি বৃদ্ধির জন্য তা পরে একটি হাতির জরায়ুতে স্থাপন করা হবে।
আর এভাবেই ঘটবে ম্যামথের পুনর্জন্ম। হলিউডের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নির্ভর বিখ্যাত সিনেমা জুরাসিক পার্কের সেই ভয়াল ডাইনোসরের মতো অতিকায় ম্যামথও পৃথিবীর মাটিতে হেঁটে বেড়াবে!
সাইবেরিয়ায় প্রাপ্ত হাড়টি থেকে বিজ্ঞানিরা অনুমান করেছেন, এই ম্যামথটির ওজন প্রায় ৯ টন এবং এটি লম্বায় ১৩ ফুট। তবে ম্যামথরা ১৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতো।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানুষের নির্বিচার শিকারের কারণে আজ থেকে ১০ হাজার বছর আগে হাতির এই অতিকায় প্রজাতিটি পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
ম্যামথের শরীরের বিভিন্ন অংশের জীবাশ্ম সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় সাইবেরিয়া এবং উত্তর কানাডায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১১