প্যারিস: তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলার ঘটনার পর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কূটনৈতিক কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারকে দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে ফ্রান্স।
রোববার ফ্রান্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণে অস্থায়ীভাবে কূনীতিকদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার ইরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলার পর গত শুক্রবার ব্রিটেন থেকে ইরানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
এই হামলার পেছনে ইরানের নেতাদের সর্মথন রয়েছে বলে মনে করছে ব্রিটেন।
এদিকে গত শনিবার ইরানের একজন শীর্ষ ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘ব্রিটেন ইরানের পুরনো শত্রুদের একটি, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তাই বলে তরুণ বিপ্লবীদের আইনের বাইরে যাওয়া উচিত হয়নি। ’
ব্রিটেন থেকে বহিষ্কৃত ইরানি কূটনীতিকরা তেহরানে ফেরার পর এই বক্তব্য দিলেন ওই ধর্মীয় নেতা।
এদিকে ব্রিটেনের এই কঠোর পদক্ষেপের অনুসরণে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন না করার জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। এটা শুধু তেহরান এবং লন্ডনের মধ্যকার ব্যাপার বলে উল্লেখ করছেন তারা।
দূতাবাসে হামলার ঘটনার পর পরই জার্মানি, ইতালি এবং নেদারল্যান্ডস তাদের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠিয়েছে।
পশ্চিমের আপত্তি উপেক্ষা করে পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে ব্রিটেন, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র। এর প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটেনের তেহরান দূতাবাসে হামলার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার পর ইরানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবরোধ আরোপ করেছে ব্রিটেন। এর মধ্যে ইইউ আবার ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১১