নয়াদিল্লি: পরীক্ষা, চাকরির জন্য চাপ এবং সম্পর্কে ব্যর্থতা মানুষকে আত্মহত্যার দিকে ধাবিত করে। নতুন এক রিপোর্টে দেখা যায় ভারতের রাজধানীতে প্রতি সতেরো ঘণ্টায় একজন ব্যক্তি আত্মহত্যা করছে।
ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর(এনসিআরবি) প্রকাশিত ওই রিপোর্টে বলা হয়, ২০০৬ সালের তুলনায় ২০১০ এ আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে।
মনস্তত্ববিদ এবং উপদেষ্টাদের মতে তরুন প্রজন্ম বেশ বুদ্ধিমান কিন্তু পরিপক্ক নয়। এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত চার বছরে ছাত্রদের মাঝে আত্মহত্যা প্রবণতা ২৬ শতাংশ বেড়েছে।
এনসিআরবি’র তথ্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে মনস্তত্ববিদ সঞ্জয় চুঘ বলেন, ‘যে কেই বলতে পারবে যে ঘটনা ক্রমেই খারাপের থেকে অধিকতর খারাপের দিকে যাচ্ছে। ছাত্ররা আছে সবচেয়ে বেশি চাপের মধ্যে আছে। ’
‘উল্লেখযোগ্য পরিমান ছাত্র কর্মসংস্থানের অভাবে এবং নানাবিধ চাপের কারণে আত্মহত্যা করছে। প্রতিযোগিতা এবং মানসিক চাপ মানুষকে দিন দিন সহ্যের শেষ সীমায় নিয়ে যাচ্ছে। এধরনের মানুষ খুব সহজেই হতাশ হয়ে পড়ছেন এবং তারা জীবনের বিনিময়ে যে কোনো ঝুঁকি নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে বলেও তিনি জানান। ’
উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দায়ি করে অধ্যাপক বিবেক মেনন বলেন, ‘বিশাল সংখ্যক ছাত্র স্কুল পাশ করে পছন্দের ইনিস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষা দেয়। তাদের জন্য এটা অনেকটা জীবন মরনের মতো ব্যাপার। ’
তরুন প্রজন্মের জন্য একটা ব্যর্থতাই অনেক কিছু। যার কারণে তারা অধৈর্য হয়ে পড়ে এবং ধ্বংসাত্বক সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় বলেও তিনি জানান।
এনসিআরবি’র পরিসংখ্যান মতে, ভারতে গত বছর ৯৩ হাজার দুইশত সাতজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১১