ক্যানবেরা: অস্ট্রেলিয়া ভারতে ইউরেনিয়াম রপ্তানির ওপর থেকে বিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে, এই খবরে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে পাকিস্তান । তারাও অস্ট্রেলিয়া থেকে ইউরেনিয়াম কেনার অনুমতি চেয়েছে।
গত রোববার অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টি ভারতে ইউরেনিয়াম রপ্তানির ওপর দীর্ঘ দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। যদিও সরকারের মধ্যে এ ব্যাপারে বিরোধিতা রয়েই গেছে।
নয়াদিল্লী লেবার পার্টির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
এদিকে চিরশত্রু ভারতকে এই সুবিধা দেওয়ার খবর চাউরি হতেই অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাই কমিশনার আব্দুল মালিক আবদুল্লাহ একই ধরনের সুবিধা দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভারতকে ইউরেনিয়াম আমদানির সুবিধা দিলেও পাকিস্তানকেও দেওয়া উচিত। ’
ধারণা করা হয় পৃথিবীর মোট ইউরেনিয়ামের ৪০ শতাংশ মজুদ আছে অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটি যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, তাইওয়ান এবং চীনের কাছে ইউরেনিয়াম রপ্তানি করে আসছে।
তবে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে (এনপিটি) স্বাক্ষর না করা দেশে ইউরেনিয়াম বিক্রি না করার সিদ্ধান্তে এতোদিন অটল ছিল অস্ট্রেলিয়া। ভারত এবং পাকিস্তান এই চুক্তিতে স্বাক্ষর না করা অন্যতম দেশ।
ভারতে ইউরেনিয়াম রপ্তানির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়ার লেবার দলীয় প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড বলেছেন, রপ্তানি করা ইউরেনিয়াম অনুমোদিত উপায়ে ব্যবহার করার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ভারতের কার্যক্রমকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। আর এতে অস্ট্রেলিয়াই লাভবান হবে বলে মত দেন তিনি।
এর পর পরই অস্ট্রেলিয়ায় পাকিস্তানের হাই কমিশনার এবিসি রেডিও তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একই ধরনের সুবিধা পাওয়ার দাবি জানান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের পারমাণু শিল্পের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ এখন অতীতের ঘটনা। ’
‘পাকিস্তান একটি অস্থিতিশীল রাষ্ট্র এবং ইউরেনিয়ামের সরবরাহ পাওয়ার অযোগ্য’ এ দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘পরমাণু প্রযুক্তি পাচারের অভিযোগ এবং বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খানের কর্মকাণ্ড এখন অতীত ইতিহাস। ’
অস্ট্রেলিয়ার সরকার পাক হাই কমিশনারের এ দাবির ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১১