ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

সোমালিয়ায় ঐক্যের ডাক দিলেন নয়া প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৪২, ডিসেম্বর ৫, ২০১১
সোমালিয়ায় ঐক্যের ডাক দিলেন নয়া প্রধানমন্ত্রী

মোগাদিসু: সোমালিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন আবদিয়েলি মোহামেদ আলি। চরমপন্থী ইসলামি সংগঠন আল শাবাবের তৎপরতা, দূর্ভিক্ষ, দুর্নীতি জর্জরিত সোমালিয়ার পুনর্গঠনে এবং একে কার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে নব উদ্যোমে কাজ করার শপথ নিয়েছেন তিনি।



প্রায় দুই দশক ধরে গৃহযুদ্ধ, অস্থিরতা আর দুর্ভিক্ষে একটি ধ্বংসোন্মুখ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া। সরকারে নিয়ন্ত্রণ নিতে বহুদিন ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে সশস্ত্র গ্রুপ আল শাবাব।

নিয়োগ পাওয়ার পর নতুন এই প্রধানমন্ত্রী সোমালিয়ার পুনর্গঠনে তার পরিকল্পনা ও কৌশল তুলে ধরেছেন একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছে।

তিনি বলেছেন, ‘সবাইকে বুঝতে হবে, সহিংসতার মাধ্যমে আপনি শান্তি আনতে পারবেন না। আমাদের এটা বুঝতে হবে, বুঝতে হবে অন্য প্রান্তে আমাদের যে ভাইয়েরা থাকেন তাদেরও। ’

শাবাবের সঙ্গে কেমন আচরণ চাই এমন প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী মোহামেদ আলি বলেন, ‘শাবাবকে পরাজিত করে আমি ক্ষমতায় থাকতে চাই না। আমি চাই না তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে। কারণ, তারা তো বাইরে থেকে আসেনি, তারা আমাদেরই সন্তান, তারাও সোমালি। ’

কারও সঙ্গে সংঘর্ষে না গিয়ে শান্তির জন্য তার সরকার মীমাংসা চায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (শাবাব) প্রতি জলপাইয়ের শাখা এগিয়ে দেব। তারা যদি সহিংসতা বন্ধ করতে চায় এবং তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইলে আমরা তাদের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত। ’

মীমাংসাই সর্বোত্তম কৌশল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আলি বলেন, ‘সোমালিরাই তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারবে। ২০ বছরের গৃহযুদ্ধ যথেষ্ট হয়েছে, আমরা দূর্বল এবং ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। এটা চলতে পারে না। জনগণও বুঝতে পারছে, সহিংসতা কখনও সমাধান এনে দিতে পারে না। তারা এখন সামনে এগুতে চায়। ’

সম্প্রতি সোমালিয়ার সরকারে পুনর্বিন্যাসের পর আবদিয়েলি মোহামেদ আলি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি একজন উচ্চ শিক্ষিত এবং স্বনামধন্য টেকনোক্র্যাট। এর আগে কয়েক বছর যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন তিনি।

আলির সরকার মোগাদিসুর বেশিরভাগ অংশের নিয়ন্ত্রণ চরমপন্থী শাবাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে সোমালিয়ার একটা বড় অংশ এখনও শাবাবের নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে।

এদিকে সরকারি বাহিনীকে সহায়তা করতে আফ্রিকান ইউনিয়ন মিশনের সেনারা সোমালিয়ায় অবস্থান করছে। তবে কথিত সন্ত্রাসী গ্রুপ আল শাবাবের দোহাই দিয়ে বিদেশি সেনারা দেশে অনুপ্রবেশ করতে পারে এই আশঙ্কায় আছে বর্তমান সরকার।

কেনিয়ার সেনাবাহিনী ইতোমধ্যেই সোমালি সীমান্তে ঢুকে পড়েছে। এদিকে ইথিওপিয়ার সেনারা ঢোকার চেষ্টা করছে বা কিছু সংখ্যক ঢুকে পড়েছে এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে।

সর্বশেষ ইথিওপিয়ার সেনারা যখন সোমলিয়ার ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে তখন সহিংসতায় ১৬ হাজার সোমলি নিহত হয়েছিল। ঘর ছাড়া হয়েছিল ১০ লাখ মানুষ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।