টোকিও: জাপান সুনামির ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গঠিত ত্রাণ তহবিলের অর্থ বিতর্কিত বাৎসরিক তিমি শিকার কর্মসূচিতে ভর্তুকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পশু অধিকার কর্মীরা।
পশু অধিকার ও পরিবশেবাদী সংগঠন গ্রিনপিস বলেছে, তিমি শিকারের জাহাজগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার কাজে জাপান ২৩০ কোটি ইয়েন বা ৩ কোটি ডলার অর্থ খরচ করেছে।
তবে জাপানের কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলছেন, এই অতিরিক্তি অর্থ তারা তিমি শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে এমন উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য খরচ করেছেন।
চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ মহাসাগরে তিমি শিকারি জাহাজগুলো যাচ্ছে এমন খবর প্রকাশ হয়েছে। তবে জাপান সরকার এই খবর নিশ্চিত করেনি।
সাগরে ২৫ বছরের জন্য বাণিজ্যিক তিমি শিকার নিষিদ্ধ। কিন্তু বৈজ্ঞানিক গবেষণার কথা বলে জাপান প্রতিবছর প্রায় এক হাজার তিনি শিকার করে।
সমালোচকরা জাপানের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তারা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এবং শুধু খাবারের জন্য তিমি শিকার করে।
তিমি শিকার বিরোধী কিছু চরমপন্থী গ্রুপ প্রতিবছরই জাপানের তিমি শিকারি জাহাজে হামলা করে। এমনকি গত বছর তিমি শিকার শেষ না করেই জাপানি জাহাজগুলোকে ফিরে যেতে বাধ্য করে তারা।
এ বছরের প্রথম দিকে জাপানের ফিশারি এজেন্সি সরকারের কাছে সুনামি এবং ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তিমি শিকারে সহায়তাকারী উপকূলে বসবাসকারী মানুষদের জন্য জরুরি ত্রাণ তহবিলের আবেদন জানায়। সরকার তা অনুমোদনও করে।
তারা সরকারকে বলে, শুধু তিমি শিকারের ওপর জীবিকার নির্ভর এমন কয়েকটি শহর ও গ্রামের মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে জাপানে গ্রিনপিস কর্মী জুনিচি সাতো দাবি করেছেন, তিমি শিকার কর্মসূচি এবং সুনামি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, ‘এটা সরাসরি তিমি শিকার কর্মসূচির ঋণ পরিশোধের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ এই কর্মসূচি এখন অর্থসঙ্কটে ভুগছে। ’
দক্ষিণ মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড জাপানের এই তিমি শিকার কর্মসূচির সমালোচনা করে আসছে। তারা এবার তিমি শিকার জাহাজ পর্যবেক্ষণের জন্য সাগরে জাহাজ পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১১