বেইজিং: চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও চীনের নৌবাহিনীকে আধুনিকতার গতিকে আরও বেগবান করে ভবিষ্যত সংঘাতের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছেন। তিনি সামরিক কর্মকর্তাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্ততি আরও ব্যাপকভাবে বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
দক্ষিণ চীন সাগরের কর্তৃত্ব নিয়ে এ অঞ্চলের বেশ কিছু দেশের সঙ্গে চীনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও এ অঞ্চলের ভূ-রাজনীতিতে নিজের উপস্থিতি বাড়ানোর প্রচেষ্টা জোরদার করার কারণে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে হু জিনতাওয়ের এই নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, নিজের প্রতিরক্ষা বাড়ানোর অধিকার চীনের আছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র অ্যাডমিরাল জন কিরবি একটি সংবাদ মাধ্যমকে এ ব্যাপারে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনও দেশের নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর বিরোধী নয়।
বর্তমানে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা প্রতিরক্ষা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করছে।
দুই দেশের মধ্যে একদিনের এই আলোচনা প্রতি বছরই নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হল, দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে তা দূর করা।
চীন সম্প্রতি তার নৌবাহিনীতে প্রথমবারের মতো একটি বিমানবাহী রণতরী যুক্ত করেছে এবং নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার জন্য উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
তবে চীনের সামরিক বাহিনী মূলত স্থলবাহিনী নির্ভর। তার নৌবাহিনীর সামর্থ্য যুক্তরাষ্ট্রের থেকে এখনও অনেক পিছিয়ে।
হু জিনতাও সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে বলেছেন, সামরিক বাহিনীর সংস্কার এবং আধুনিকায়নকে আরও গতিশীল করতে হবে এবং যে কোনও সংঘাত মোকাবেলার জন্য বৃহত্তর প্রস্তুতি নিতে হবে যাতে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে।
দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ক্রমাগত মার্কিন সম্পৃক্ততা চীনের সন্দেহ এবং উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এ অঞ্চলে ফিলিপাইন এবং ভিয়েতনাম উভয় দেশই চীনের বিরুদ্ধে আগ্রাসি মনোভাবের অভিযোগ করছে।
তারাসহ এ অঞ্চলের আরও কয়েকটি দেশ কয়েকটি দ্বীপের মালিকানা দাবি করছে। ধারণা করা হয়, এই দ্বীপগুলো তেল- গ্যাসসহ মূল্যবান খনিজ সম্পদ রয়েছে।
গতমাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই অঞ্চলে বর্ধিত মার্কিন উপস্থিতির ঘোষণা দিয়েছেন। উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় একটি পূর্ণাঙ্গ মেরিন টাস্কফোর্স ঘাঁটি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১১