ব্রাসেলস: ইউরোজোনে ভয়াবহ ঋণ সংকটের প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইউরোভূক্ত দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে বৈঠকে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছার চেষ্টা করবেন তারা।
সেই বৈঠকেই ইউরোজোন ভূক্ত ১৭টি দেশের ‘বাঁচা-মরা’ নির্ধারিত হবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ইইউ এর গুরুত্বপূর্ণ দুই দেশ জার্মানি এবং ফ্রান্স এই বৈঠককে সামনে রেখে একটি নতুন ইইউ সনদ অনুমোদনের চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা সংকট থেকে বের হয়ে আসার জন্য ইউরোজোনে কঠোর অর্থনৈতিক নীতি বাস্তবায়ন করার পক্ষে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি এবং জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেরা মেরকেল ইইউ’র একটি আলাদা অর্থনৈতিক ইউনিয়ন গঠনের পক্ষে জোরালো সুপারিশ করেছেন।
প্রস্তাবিত নীতিতে সঙ্কটে পতিত দেশগুলোর জাতীয় বাজেট নিয়ন্ত্রণে ইইউ’র হস্তক্ষেপ করার অধিকার দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার চীনের মান নির্ধারক প্রতিষ্ঠান দাগোং ফ্রান্সের ঋণমান কমিয়েছে। চীন এমন সময় এই রকম মূল্যায়ন করল যখন আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইউরোজোনের ঋণ সঙ্কট বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ইতালির পর ইউরোপের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ফ্রান্সের ঋণমান কমল। এর আগে ইতালির ঋণ মান কমিয়ে A- থেকে BBB গ্রেডে নামিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইউরোভূক্ত দেশগুলোর নেতারা যদি ঋন সংকট মোকাবেলায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন তবে এ অঞ্চলের একক মূদ্রা ইউরো এমনকি খোদ ইউরোজোনের অস্তিত্বই হুমকির মুখে পড়বে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন ফ্রান্সের ইউরোপ বিষয়কমন্ত্রী জ্যাঁ লিওনেত্তি।
তার আশঙ্কা, এ অবস্থায় ইউরোজোন ভেঙে যেতে পারে এবং এর ফলে পুরো ইউরোপ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশ্ব অর্থনীতির জন্য খারাপ ফলাফল বয়ে আনবে ।
২৭ সদস্যবিশিষ্ট ইইউ এর ইউরোজোনের বাইরের ইংল্যান্ডসহ ১০টি সদস্য দেশ ফ্রান্স এবং জার্মানির প্রস্তাবিত নতুন ইইউ সনদ পরিকল্পনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, এতে করে ইউরোজোনের বাইরের দেশগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১১