ওয়াশিংটন: ২০১২ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। ওয়াশিংটনভিত্তিক বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক একটি প্রভাবশালী সংস্থার জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
তবে এ যাবতকালের আলোচিত পাক-ভারত সামরিক দ্বন্দ্ব এর তুলনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
গত শুক্রবার তারা জানায়, গত ২ মে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সংঘাতের মাত্রা বেড়েছে।
অপর দিকে পাক-ভারত সঙ্কট যা সামরিক সংঘাতের ঝুঁকি বহন করছে, সম্প্রতি মুম্বাই হামলাসহ একাধিক সন্ত্রাসী হামলার কারণে তা আরও ঘনীভূত হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এর কৌশলগত গুরুত্ব কমেছে।
এই বিশেষ কাউন্সিলের সেন্টার ফর প্রিভেনটিভ অ্যাকশন (সিএফআর) যুক্তরাষ্ট্রের আগামী বছরের সম্ভাব্য দ্বন্দ্বের একটি তালিকা মার্কিন কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞদের প্রতি বছর নিয়মিত সরবরাহ করে থাকে।
তাদের মতে, ২০১২ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতের ঝুঁকি সবচে বেশি। তবে তালিকায় অন্য আরও সম্ভাব্য সংঘাতগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইউরো সঙ্কট আরও ঘনীভূত হওয়া যা যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ফেলতে পারে, সাইবার আক্রমণের হুমকি এবং সৌদি আরবে অস্থিরতার আশঙ্কা যা বিশ্ব বাজারে তেলের সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।
এই তালিকায় গত বছর শীর্ষে ছিল, যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের ঘটনা প্রবাহ, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে পরমাণু উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং মেক্সিকোতে মাদক সক্রান্ত সহিংসতা।
তবে এসব ভবিষ্যৎবাণীর ব্যাপারে দূর্বল আস্থার কথা বলেছেন স্বয়ং মিকা জেনকো, যিনি সিএফআর’র একজন ফেলো এবং তিনিই এই জরিপটি করেছেন।
তিনি বলেছেন, অস্থিতিশীলতা এবং সংঘাতের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড কিন্তু দুঃখ জনক। সম্ভাব্য পরিকল্পনা নির্ধারণের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সম্পর্ক নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১১