ঢাকা: মার্কিন বিমান বাহিনীর চলে যাওয়ার পর পাকিস্তানের শামসি বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে পাক সেনারা।
রোববার লন্ডন ভিত্তিক সংবাদপত্র নিউজ ট্রাইব এ খবর প্রকাশ করেছে।
ওই সংবাদপত্রে বলা হয়, ‘৫১ জন মার্কিন সেনা বিমানঘাঁটি ছেড়ে গেছে এবং তাদের মালপত্র আফগানিস্তানে পাঠানো হয়েছে। এরপর এফসি (ফ্রন্টিয়ার কোর) ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ’
গত ২৬ নভেম্বর পাকিস্তানের মোহমান্দ আদিবাসী এলাকায় সেনা তল্লাশিচৌকিতে ন্যাটোর বিমান হামলায় অন্তত ২৪ জন পাক সেনা নিহত হয়। এরপর ইসলামাবাদ যুক্তরাষ্ট্রকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেয় বিমানঘাঁটি থেকে চলে যাওয়ার জন্য। এ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি হয়।
হামলার পরপরই পাকিস্তানি সরকার আফগানিস্তানে ন্যাটোর রসদ সরবরাহের পথও বন্ধ করে দেয়। পাকিস্তানের খাইবার গিরি ও তোরহাম সীমান্ত এলাকা রসদ পাঠানোর রুট হিসেবে ব্যবহার করে।
এদিকে পাকিস্তানের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা রোববার একটি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন, দেশের আকাশসীমায় কোনও মার্কিন ড্রোন ঢুকলে গুলি করে নামানো হবে।
বেলুচিস্তান প্রদেশের শামসি বিমান ঘাঁটিটি এতদিন পাকিস্তানের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করছিল। এই ঘাঁটি থেকেই আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের উপজাতীয় এলাকায় ড্রোন হামলা চালানো হত বলে ধারণা করা হয়।
২৬ নভেম্বরের হামলার ঘটনাকে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ আগ্রাসন হিসেবে অভিহিত করে। হামলার পরপরই তারা পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্যামেরন মুনটারকে ডেকে কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ জানায়।
এছাড়া পাকিস্তানের সংসদীয় কমিটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের কৌশলগত সহযোগিতা চুক্তি নতুন করে মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১১