ওয়াশিংটন: ন্যাটো হামলায় ২৪ জন পাক সেনা নিহতের ঘটনায় পাকিস্তানের কঠোর প্রতিক্রিয়ার পর নমনীয় অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাক-মার্কিন সম্পর্ক পুনর্গঠনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওবামা প্রশাসন।
এ লক্ষ্যে সবর্শেষ পদক্ষেপ হিসেবে জানা যাচ্ছে, সিনেটে পাস হওয়া পাকিস্তানকে অর্থ সহায়তা দেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হচ্ছে না জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কংগ্রেসে নিরাপত্তা বিলের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমাদের (পাক-মার্কিন) মধ্যে যা কিছু ঘটেছে এবং যা ঘটেনি তা পরিষ্কার করতে চাই। পাকিস্তানের জন্য ৭০ কোটি ডলারের অর্থ সহায়তা বন্ধ করা হয়নি। ’
দূর নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরকের (আইইডি) বিস্তার নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তানকে সহায়তার জন্য ৭০ কোটি ডলার অর্থ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পেন্টাগন। কিন্তু গত ২ মে গ্যারিসন শহর অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হওয়ার পর পাক-মার্কিন সম্পর্কে মারাত্মক অবনতি হয়।
এর ধারাবাহিকতায় ওই অনুদান বন্ধে মার্কিন পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ প্রতিনিধি কক্ষের আলোচক প্যানেল এবং সিনেট বিনা বিতর্কে একমত হয়।
কিন্তু গত মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত স্থগিতের কথা নিশ্চিত করল পররাষ্ট্র দপ্তর। এ ব্যাপারে নুল্যান্ড বলেন, ‘ডিফেন্স অথোরাইজেশন বিলের আওতায় কংগ্রেসে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা বাস্তবায়নের ব্যাপারে প্রতিরক্ষা দপ্তর নির্দেশনা ঠিক করবে। তারা কৌশল বাতলে দেবে, আমরা সামরিক সহায়তা এবং এর অগ্রগতি মূল্যায়ন কীভাবে করব। আর আমরা আইইডি’র ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করছি। ’
নুল্যান্ড জানান, এই বিষয়টি আইনে পরিণত হলে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে এর সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। তবে তার আগে কিছু কৌশলগত বিষয় নিশ্চিত করতে হবে কংগ্রেসকে তাদের কৌশলের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে হবে বলে জানান তিনি।
তবে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির নেতৃত্বে পাকিস্তানি কূনীতিকদের সঙ্গে পররাষ্ট্র দপ্তরের সম্মেলনের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি নুল্যান্ড। তবে এক সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আর কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সে বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১১