নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রে সেদেশের কুড়ি শতাংশ নারীই ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের করা এক গবেষণায় এতথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণা দলের সংস্থা সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ নারী তার স্বামী অথবা সঙ্গীর দ্বাড়া ধর্ষণের শিকার হয়।
পুরো যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানের নারী এবং পুরুষের ওপর হওয়া ধর্ষণ, নিপীড়নের উপর ভিত্তি করেই এই গবেষণা করা হয়েছে বলেও জানায় গবেষকরা।
গবেষণায় আরও বলা হয়, প্রতি মিনিটে অন্তত ২৪ জন ধর্ষণ, যৌণ হয়রানি অথবা শারিরীক অত্যাচারের শিকার হয় এমন অভিযোগ রেকর্ড করা হয়। গত বছরের ঘটনা প্রবাহের ওপর নির্ভর করেই এই হার রেকর্ড করা হয়েছে। আর সঙ্গী অথবা স্বামী কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীর সংখ্যাকে ‘স্তম্ভিত’ বলে আখ্যা দেয় গবেষণা সংস্থাটি।
গবেষণা সংস্থাটির এক পরিসংখ্যানে দেখানো হয়:
গত বারো মাসে অন্তত দশ লাখ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শারিরীক অত্যাচারের শিকার হয়েছে ষাট লাখ নর-নারী।
সিডিসি’র ড. লিন্ডা দেগুইতিস বলেন, ‘যারা সঙ্গীর কাছ থেকে ধর্ষণ, শারিরীর নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তাদের সারা জীবনই একপ্রকার বীভৎসতার মধ্য দিয়ে যায়। অনেক নারীই কিছু বোঝার মতো বয়স হওয়ার আগেই শিকার হচ্ছেন ধর্ষণের। ২৫ বছরের নিচে ৮০ শতাংশ নারীই এই বীভৎসতার শিকার হচ্ছেন। ’
তিনি আরও বলেন, ১৮ বছর বয়সের নীচে ৩৫ শতাংশ নারীও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১১