ব্যাংকক: মিয়ানমারে আফিম উৎপাদন ক্রমেই বাড়ছে। বিগত পাঁচ বছর ধারাবাহিকভাবেই এর উৎপাদন ৫০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানায় জাতিসংঘ।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মিয়ানমারে ২০০৭ সালের আফিম উৎপাদনের তুলনায় ২০১০-২০১১ সালে আফিমের উৎপাদন বেড়েছে পাঁচ শতাংশ বেশি। আর এর পরিমান হলো ৫৮০ মেট্রিক টন থেকে ৬১০ মেট্রিক টনের মধ্যে।
জাতিসংঘের দক্ষিণ এশিয়ার মাদক এবং অপরাধ বিষয়ক সংস্থার এক রিপোর্টে জানা যায়, ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রতি কিলোগ্রাম আফিমের দাম ছিল ৩০৫ ডলার। কিন্তু মাত্র এক বছরের ব্যাবধানে এর দাম দাড়িয়েছে ৪৫০ ডলার।
ইউএনওডিসি’র মিয়ানমারের কান্ট্রি ম্যানেজার জ্যাশন এলিগ বলেন, ‘অবশ্য ২০০২ সাল থেকেই দক্ষিণ এশিয়ায় আফিমের দাম বাড়ছিল। কিন্তু পাশ্বর্বর্তী দেশগুলোতে আফিমের চাহিদা দিন দিন বাড়ার কারণে সম্প্রতি অনেকগুন বেড়ে যায় আফিমের দাম। আর তাই আফিম চাষীদের উৎপাদনও বাড়াতে হচ্ছে। ’
এলিগ আরও বলেন, ‘মিয়ানামরের যেসকল অঞ্চলগুলোতে আফিম উৎপাদন হয়। সে অঞ্চলগুলো বেশ সংঘর্ষ প্রবণ। ’
সম্প্রতি সরকারের সঙ্গে স্বশস্ত্র জাতিগোষ্ঠির অস্ত্র বিরতি চুক্তি চলছে। আর এ কারণে প্রায় নিরুপদ্রপ ভাবেই পপি চাষ বাড়ছে বলেও তিনি জানান।
এলিগ বলেন, সরকার অফিম চাষ বন্ধে অনেক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। কিন্তু আফিম চাষীদের অফিমের বদলি অন্য কিছু চাষ করার জন্য যথেষ্ট সহায়তা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১১