সোমবার (৪ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানা যায়।
বার্গার প্রস্ততকারী এই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং সিইও ইস্টারব্রুক তাদেরই এক কর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
অভিযোগের পর এক ইমেইলে নিজের ভুল স্বীকারও করেছেন স্টিভ ইস্টারব্রুক।
তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধ অনুযায়ী আমি যা করেছি তা একটি ভুল। এখানে আমার সময় শেষ হয়ে গেছে। ’
৫২ বছর বয়সী ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ইস্টারব্রুক ম্যাকডোনাল্ডসের লন্ডন শাখায় ১৯৯৩ সালে প্রথম যোগ দেন ম্যানেজার হিসেবে। ২০১১ সালে তিনি এই প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে পিজ্জা এক্সপ্রেসের প্রধান হিসেবে কাজ করেন। তারপর যোগ দেন এশিয়ান খাবার প্রতিষ্ঠান ওয়াগামামায়।
২০১৩ সালে আবারও যোগ দেন ম্যাকডোনাল্ডসে, এবং একসময় প্রতিষ্ঠানটির যুক্তরাজ্য ও উত্তর ইউরোপের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে তিনি এর সিইও হন। সিইও হিসেবে বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) ম্যাকডোনাল্ডস থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সিইও হিসেবে দায়িত্ব ছাড়ার পাশাপাশি এর প্রেসিডেন্ট ও বোর্ড সদস্যের পদও ছাড়তে হয়েছে তাকে।
প্রতিষ্ঠানটির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ম্যানেজারের তার নিচের পদের কোনো কর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো নিষেধ।
নতুন সিইও হিসেবে বোর্ড অব ডিরেক্টর ক্রিস কেম্পকিন্সকির নাম ঘোষণা করেছে। তিনি আগে ম্যাকডোনাল্ডসের যুক্তরাষ্ট্র শাখার প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এফএম/এএ