ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা গণহত্যা স্বীকারে সু চিকে ৭ নোবেলজয়ীর আহ্বান

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
রোহিঙ্গা গণহত্যা স্বীকারে সু চিকে ৭ নোবেলজয়ীর আহ্বান

ঢাকা: নেদারল্যান্ডসে অবস্থিত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস’-এ (আইসিজে) রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে করা অপরাধের ব্যাপারে প্রকাশ্যে স্বীকার করার জন্য মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বের ৭ নোবেলজয়ী। একইসঙ্গে এই গণহত্যার জন্য সু চি ও মিয়ানমারের সেনা কমান্ডারদের জবাবদিহিতার আহ্বানও জানান তারা।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে এই  আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে আমরা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হওয়া গণহত্যাসহ অপরাধগুলো প্রকাশ্যে স্বীকার করার জন্য নোবেলজয়ী অং সান সু চির প্রতি আহ্বান জানাই।

আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে, এই নৃশসংসতায় নিন্দা জানানোর পরিবর্তে সেটা অস্বীকার করেছেন সুচি।

এর আগে রোহিঙ্গাদের প্রতি নৃশংসতার অভিযোগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। আন্তর্জাতিক আদালতে ৪৬ পৃষ্ঠার এক অভিযোগপত্র দেয় দেশটি। সেখানে তারা মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা, ধর্ষণ ও উচ্ছেদের অভিযোগ আনে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পর্যন্ত ওই মামলার ধারাবাহিক শুনানি চলবে। মিয়ানমার ও গাম্বিয়া দুই দেশের প্রতিনিধি দলই এতে অংশ নেবেন। মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিও আদালতে হাজির হবেন।

বিবৃতিতে ওই সাত নোবেলজয়ী বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর ঘটনায় মিয়ানমারকে দায়ী করার জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা গাম্বিয়ার প্রশংসা করি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শান্তির মানুষ হিসেবে আমরা রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্য মোকাবিলা ও রোহিঙ্গাদের জাতীয়তা, ভূমির মালিকানা, আন্দোলনের স্বাধীনতা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই। আমরা সু চিকে নৈতিক দায়িত্ব পালনের এবং তার নজরদারির অধীনে সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি ও নিন্দা জানাতে অনুরোধ করছি।

বিবৃতিতে সই করেছেন, শান্তিতে নোবেলজয়ী ইরানের শিরিন ইবাদি, লাইবেরিয়ার লেমাহ গবোই, ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কার্মান, উত্তর আয়ারল্যান্ডের মাইরেড মাগুয়ের, গুয়েতেমালার রিগোবার্টা মেনচ তুম, যুক্তরাষ্ট্রের জোডি উইলিয়ামস ও ভারতের কৈলাশ সত্যার্থী।

রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারের মুখে ২০১৭ সালের আগস্টে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। এরও আগে থেকে কয়েক ধাপে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় চার লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।

তবে ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে অভিযান চালায় সেটাকে ‘জাতিগত নিধন’ ও ‘হত্যাযজ্ঞ’ আখ্যা দেয় জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।

পড়ুন>> গাম্বিয়াকে সহায়তার ঘোষণা কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের
        ** রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’ মামলায় লড়তে আন্তর্জাতিক আদালতে সু চি

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
টিআর/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।