ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গুরুতর মানসিক রোগে ভুগছেন চীনা সাবমেরিনের নাবিকরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১
গুরুতর মানসিক রোগে ভুগছেন চীনা সাবমেরিনের নাবিকরা

দক্ষিণ চীন সাগরে টহলরত চীনা সাবমেরিনের নাবিকরা গুরুতর মানসিক রোগে ভুগছেন, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্টার অ্যান্ড স্ট্রাইপস।

 

সাংহাইয়ের নেভাল মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ মিলিটারি হেলথ  ম্যানেজমেন্ট-এর সঙ্গে যুক্ত পাঁচজন চীনা গবেষক এই মাসের শুরুতে মিলিটারি মেডিসিনে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা সামরিক কর্মীদের একটি দল হচ্ছে সাবমেরিন ফোর্স, বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরে।

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা সাবমেরিনের ৫১১টি জরিপের মধ্যে ১০৮টি মানসিক রোগের লক্ষণ দেখা গেছে, যেগুলোর মধ্যে আছে বিষণ্নতা, উদ্বেগ ও শত্রুতা।  

জরিপে চীনা সামরিক বাহিনীর পুরুষ সদস্যদের মধ্যে উচ্চতর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা পাওয়া গেছে।  

গবেষকরা বলেছেন, এই গবেষণা প্রথমবারের মতো প্রমাণ করে যে দক্ষিণ চীন সাগরের সাবমেরিন বাহিনীর সৈন্য এবং কর্মকর্তারা মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন এবং গুরুতর মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।

দক্ষিণ চীন সাগর নিজেদের বলে দাবি করে চীন। এ কারণে বছরের পর বছর ধরে সেখানে নৌ টহল বাড়িয়েই চলেছে দেশটি।  

চীনা গবেষকরা ব্যাখ্যা করেছেন, গবেষণায় দেখা গেছে যে সামরিক কৌশল মানসিক এবং শারীরিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।  

তারা লিখেছেন, যারা সাবমেরিনে দায়িত্ব পালন করেন, তাদের চলাফেরা সীমিত, কৃত্রিম বাতাসে শ্বাস নিতে হয়, কৃত্রিম আলোর মধ্যে থাকতে হয় একটানা ৬০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত। এই দীর্ঘ বিচ্ছিন্নতাই মানসিক রোগের অন্যতম কারণ। পারমাণবিক সাবমেরিনে থাকা নাবিকদের মানসিক রোগের ঝুঁকি আরও বেশি।  

চীনা সামরিক বাহিনীর সাম্প্রতিক প্রতিরক্ষা মূল্যায়ন অনুযায়ী, চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি নৌবাহিনী বিশ্বের বৃহত্তম নৌবাহিনী। কিন্তু এর ক্ষমতা এখনো মার্কিন নৌবাহিনীর সমান নয়। সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার.ইন

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।