পাকিস্তানি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরাই কাশ্মীরের শান্তি নষ্ট করছে বলে মন্তব্য করেছেন সিনিয়র সাংবাদিক আখলাক আহমেদ উসমানী।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই নিয়ে আলোচনায় উঠে আসে ১৯৮৪ সালে বার্মিংহামে ভাতীয় কূটনীতিক রবীন্দ্র হরেশ্বর হত্যাকাণ্ডের কথা।
হরেশ্বর হত্যাকাণ্ডের ৩৭তম বার্ষিকীতে ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় অংশ নেওয়া সবাই একমত হন যে, পাকিস্তান যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করে তবেই কেবল কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উসমানী জোর দিয়ে বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড ইসলাম সমর্থন করে না। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরোচনায় বসা উচিত।
মুসলিম ছাত্র সংগঠনের (এমএসও) সভাপতি শুজাত আলী কাদরি কূটনীতিক হরেশ্বর হত্যাকাণ্ডকে ‘ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ হিসেবে অভিহিত করেন। আঞ্চলিক শান্তির বৃহত্তর স্বার্থে ভারত যে সংযম অবলম্বন করছে তা তুলে ধরেন।
আলোচকরা বলেন, কাশ্মীরে এখন শান্তি প্রতিষ্ঠার সময়। কিন্তু এটা তখনই সম্ভব হবে যখন সন্ত্রাসবাদ থাকবে না।
রবীন্দ্র হরেশ্বর ছিলেন ব্রিটেনের বার্মিংহামে ভারতীয় হাই কমিশনের সহকারী কমিশনার। ১৯৮৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের নিষিদ্ধ সংগঠন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ) তাকে অপহরণ করে। তিন দিন পর তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
জেকেএলএফের প্রতিষ্ঠাতা মকবুল ভাটের মুক্তির দাবিতে সমঝোতার প্রচেষ্টায় তাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়।
ভারত সন্ত্রাসীদের সাথে সমঝোতা করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং ১৯৮৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভাটকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। সূত্র: এএনআই
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
নিউজ ডেস্ক