বিয়ে ও জন্মহার বাড়াতে ম্যাচ মেকিং প্রচারাভিযান শুরু করেছে চীন। অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার তীব্র দুর্দশা রোধে সরকার এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ এখন শুধু তরুণদের বিয়ে করতে উৎসাহিত করছে না; তারা বিবাহিত দম্পতিদের একসাথে রাখার চেষ্টা করছে। কমিউনিস্ট ইয়ুথ লীগ, সিসিপির যুব শাখা জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতে সাহায্য করার জন্য গণ ‘ব্লাইন্ড ডেটিং’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে।
চীনা কর্মকর্তারা বলেছেন, এক শিশু নীতির কারণে বিয়ের হার কমে গেছে, যা চীনের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৭৯ সালে চালু করা একটি ইচ্ছাকৃত কৌশল।
বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চীনের বিয়ের হার ষষ্ঠ বছরে ৬.৬ কমে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬.৬, যা ২০১৩ সালের থেকে ৩৩ শতাংশ এবং ১৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এই তথ্য আরও প্রকাশ করেছে যে প্রথমবারের মত বিয়ে করা চীনা নাগরিকের সংখ্যাও ২০১৩ সালে ২৩.৮ মিলিয়ন থেকে ৪১ শতাংশ কমে ২০১৯ সালে ১৩.৯ মিলিয়নে নেমে এসেছে।
চীনের এক শিশু নীতি ছিল তার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা সীমিত করার একটি পদক্ষেপ যা দশকের পর দশক ধরে চলতে থাকে, এটি ২০১৬ সালে শেষ হয়।
জনসংখ্যা সংকট নিয়ে জনসংখ্যা সংকট সম্পর্কে জনসংখ্যাবিদরা এর আগে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
এক সন্তান নীতি অন্যান্য উপায়ে বিয়েকে প্রভাবিত করেছে। ছেলেদের প্রতি চীনা পরিবারের ঐতিহ্যগত অগ্রাধিকার জন্মের সময় লিঙ্গ অনুপাত সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। বর্তমানে চীনে নারীর চেয়ে ৩ কোটিরও বেশি পুরুষ আছে যারা বিয়ের জন্য কনে খুঁজে পাচ্ছেন না।
নারীদের ক্রমবর্ধমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা বিয়ের বাজারে উপযুক্ত অংশীদার খুঁজে পাওয়া আরো কঠিন করে তুলেছে।
চীনা সামাজিক বিজ্ঞান একাডেমির মতে, চীনে নারী-পুরুষ উভয়ই বিয়ে করতে দেরি করছে। ১৯৯০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চীনা নারীদের জন্য প্রথম বিয়ের গড় বয়স ২২ থেকে বেড়ে ২৫ এবং চীনা পুরুষদের জন্য ২৪ থেকে ২৭ বছর হয়েছে।
সঙ্কট দূর করতে চীনা সরকার এক শিশু নীতি থেকে সরে এসে দুটি সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয়। ২০১৬ থেকে এটা কার্যকর হয়।
রাষ্ট্র পরিচালিত প্রচার মাধ্যম এখন দম্পতিদের বলছে, একটি শিশুর জন্ম শুধু একটি পারিবারিক বিষয় নয় বরং একটি রাষ্ট্রীয় বিষয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
নিউজ ডেস্ক