মুসলিমদের মদ কেনা আইনত নিষিদ্ধ হলেও করোনা মহামারির সময়ে পাকিস্তানে মদ খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দামও।
পাকিস্তানে ১৯৭৭ থেকে অ্যালকোহল নিয়ন্ত্রিত। তখন জুলফিকার আলি ভুট্টোর সরকার মদ নিষিদ্ধ করে আইন পাস করে। শুধু কিছু বার ও ক্লাবে মদ পাওয়া যেত। পরে ১৯৭৯ সালে জেনারেল জিয়া উল হকের শাসনে ঘোষণা করা হয়, মদ খাওয়া ইসলাম-বিরোধী। মুসলিমদের কাছে মদ বিক্রি করা হলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেন তিনি। তবে কিছু অঞ্চলে অ-মুসলিমদের জন্য মদের দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হয়। প্রচুর কর দিয়ে কয়েকটি অঞ্চলে অ-মুসলিমরা এই দোকান চালাতে পারে।
ওমর নামে এক পাকিস্তানি গায়ক জানিয়েছেন, ২০২০ সালের লকডাউনের পর থেকে বিয়ার এবং মদের দাম প্রায় তিনগুণ বেড়েছিল। এখন তা দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।
মুরি ব্রুয়ারির সিইও ইসফানিয়ার ভান্ডারা জানিয়েছেন, ''গত বছর মার্চ ও এপ্রিল তাদের উৎপাদন বন্ধ ছিল। গমের মতো বেশ কিছু জিনিস নষ্ট হয়েছে। কোভিডের জন্য লাভ ৫০ শতাংশ কমেছে। তবে অনেক সংস্থা তো করোনার সময় বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের থেকে আমাদের অবস্থা ভালো। তবে ২০২১ থেকে বিক্রি বাড়ছে। ''
তবে ভান্ডারা জানিয়েছেন, তারা খুবই লো প্রোফাইলে থাকেন। তাদের সংস্থা ১৮৬০ সালে তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশদের চাহিদা মেটাতে। এটা পাকিস্তানের সব চেয়ে পুরনো সংস্থা এবং সর্ববৃহৎ মদ প্রস্তুতকারক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
নিউজ ডেস্ক