ইসলামাবাদ: প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির দুর্নীতির মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে অভিযুক্ত করেছেন পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্ট।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্ট প্রধানমন্ত্রীকে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রেসিডেন্টের দুর্নীতির মামলা প্রসঙ্গে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলো সুপ্রিমকোর্ট।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এই কঠোর অবস্থান বর্তমান টালমাটাল সরকারের মধ্যে সঙ্কট আরো ঘণীভূত করবে বলে বিশ্লেষকদের মত। অনেকের ধারণা এই অবস্থা হয়ত আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সরকারকে আগাম জাতীয় নির্বাচন দিতে প্রকারান্তরে বাধ্য করবে।
আদালতের বিচারক নাসির-উল-মালিক বলেছেন, ‘সরকার আদালতের নির্দেশ অমান্য করার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী গিলানির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পেছনে যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে। সেই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা পুনরায় চালুর জন্য সুইজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানোরও ভিত্তি রয়েছে। ’
এ ব্যাপারে সরকারের যুক্তি, জারদারি যেহেতু রাষ্ট্রপ্রধান সেহেতু সংবিধান অনুযায়ী তিনি সব ধরনের মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার অধিকারী। বিচারকরা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে এই সব করছে বলে সরকারের অভিযোগ।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট জারদারিরর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয় ২০০৭ সালে আরোপিত রাজনৈতিক ক্ষমার আওতায়। পরে ২০০৯ সালের শেষ নাগাদ আবার আদালত তা বাতিল করে দেন।
জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের শেষ নেই। ‘মিস্টার ১০ পারসন্টে’ খ্যাত এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব দুর্নীতি, হত্যাসহ অনেকগুলো মামলায় ১১ বছর জেল খেটেছেন। যদিও তার সমর্থকরা নেতার বিরুদ্ধে এইসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর স্বামী জারদারির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৯৯০’র দশকে শুল্ক বিভাগের নীরিক্ষার কাজ পাওয়ার জন্য একটি কোম্পানি জারদারিকে এক কোটি ২০ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছিল। সেই অর্থ জারদারি গোপনে সুইসব্যাংকে রাখেন।
এই কারণে তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১২