উইগুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলমান চীনা গণহত্যা এবং তিব্বত, দক্ষিণ মঙ্গোলিয়া, হংকংয়ে তীব্র দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে অস্ট্রেরিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায়।
অস্ট্রেলিয়ার সংসদ ভবনের কাছে অনুষ্ঠিত ওই বিক্ষোভ থেকে বেইজিং ২০২২ শীতকালীন অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক বর্জনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
অলিম্পিক দিবসে "নো বেইজিং ২০২২ গ্লোবাল ডে অফ অ্যাকশন" প্রচারণার অধীনে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছিল।
তিব্বতী, উইগুর, দক্ষিণ মঙ্গোলিয়ান, হংকং এবং তাইওয়ানের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী একদল মানুষ ৬০টিরও বেশি বৈশ্বিক শহরে সমাবেশ করেছন। তারা বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, অলিম্পিক সংস্থা এবং স্পনসরদের বেইজিং ২০২২ গেমস বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত মে মাসে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর একটি জোট বেইজিংয়ে ২০২২ শীতকালীন অলিম্পিক সম্পূর্ণভাবে বয়কটের আহ্বান জানায়। তাদের বক্তব্য, এই গেমে অংশ নেওয়া মানে উইগুর জনগণের বিরুদ্ধে চীনের গণহত্যাকে সমর্থন করার সমান।
উইগুর, তিব্বতী, হংকং-এর বাসিন্দা এবং অন্যান্যদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি জোট মে মাসে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে বয়কটের আহ্বান জানায়।
এতে বলা হয়, চীনা সরকার উইগুর জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালাচ্ছে। পূর্ব তুর্কিস্তান, তিব্বত ও দক্ষিণ মঙ্গোলিয়ায় দমনপীড়ন এবং হংকংয়ে গণতন্ত্রের ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ করছে।
উইগুর মুসলমানদের বন্দী শিবিরে পাঠিয়ে তাদের ধর্মীয় কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ এবং নির্যাতনের অভিযোগে বিশ্বব্যাপী সমালোচিত হচ্ছে চীন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে জিনজিয়াং-এ উইগুরদের সঙ্গে চীনের আচরণকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
এরপর যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ডাচ সংসদ উইগুর সংকটকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২১
নিউজ ডেস্ক