সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সীমান্তের কাছে চীনা কর্মকাণ্ডের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থন বাড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার অবস্থান করা মুক্তিকামী উইগুর বংশোদ্ভূতদের কথিত সন্ত্রাসবিরোধী ব্যবস্থা নেওয়া থেকে শুরু করে চীনা সরকারের নির্দেশে ব্যক্তিগত পর্যায়েও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।
কুনওয়ার খুলদুনে শহীদ দ্য ডিপ্লোম্যাটে লিখেছেন, টেক্সটাইল এবং কার্পেট ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়ালির বড় ভাইকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অপহরণ করেছে। ওয়ালি মূলত চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের রাজধানী উরুমকির দাবানচেং জেলার বাসিন্দা উইগুর মুসলিম পরিবারের সদস্য।
ওয়ালি বলেন, তার ভাই একজন ইসলামিক ধর্মযাজক। পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টের (ইটিআইএম) সদস্য হিসেবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, যা চীন এবং পাকিস্তান উভয় দেশেই নিষিদ্ধ।
ওয়ালির বন্ধু ইব্রাহিম আহমেদ, যার বাবা জিনজিয়াং থেকে গিলগিট-বাল্টিস্তানে চলে আসেন, তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান চীনা প্রভাবের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানি উইগুর সম্প্রদায় পরিচয় গোপন রাখছে।
তিনি বলেন, আমি কাজের জন্য পাকিস্তানের সব অঞ্চলেই যাই। চীনারা দেশটি দখল করে নিয়েছে। গিলগিটে অনেকে তাদের পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে পুরুষদের পাকিস্তানের অন্যান্য অংশ এমনকি অন্যান্য দেশে চলে যেতে বলছে। চীন গিলগিট থেকে উইগুরদের উচ্ছেদ করতে চায়।
গিলগিট-বাল্টিস্তান ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (সিপিইসি) প্রবেশদ্বার, বেইজিংয়ের বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগ। এটি বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২১
নিউজ ডেস্ক