ভারতে বসবাসকারী প্রত্যেক হিন্দু-মুসলমানের পূর্বপুরুষ এক ছিলেন বলে দাবি করেছেন ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। তার কথায়, ভারতের সব নাগরিক হিন্দু।
হিন্দুস্তান টাইমস’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের মুম্বাইয়ে ‘রাষ্ট্র প্রথম-রাষ্ট্র সর্বোপরি’ বিষয়ক একটি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মোহন ভগবত বলেন, ব্রিটিশরা মুসলিমদের বলেছিল যে, শুধুমাত্র হিন্দুরা নির্বাচিত হবেন এবং একত্রিতভাবে তারা একটি পৃথক (দেশের) দাবির জন্য ঝাঁপাবেন। তারা (ব্রিটিশরা) বলেছিল যে, ভারত থেকে ইসলাম মুছে যাবে। সেটা কি হয়েছে? মুসলিমরা যেকোনো পদে বসতে পারেন।
শুধু মুসলিম নয়, হিন্দুদের মনেও ব্রিটিশরা ইসলামবিরোধী মনোভাব তৈরি করেছিল বলে দাবি করেন আরএসএস প্রধান। তিনি বলেন, হিন্দুদের মনে গেঁথে দেওয়া হয়েছিল যে, মুসলিমরা উগ্রপন্থী। দুটি সম্প্রদায়কে ওরা লড়িয়ে দিয়েছিল। সেই দ্বন্দ্ব এবং অবিশ্বাসের বাতাবরণের জন্য দুই সম্প্রদায় একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে এসেছে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পালটাতে হবে।
আরএসএস প্রধান আরও বলেন, দুই সম্প্রদায়কেই একইসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। কাজ করতে হবে একসঙ্গে। যা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাদের ঐক্যের মূল ভিত্তি হলো আমাদের মাতৃভূমি এবং গৌরবময় ঐতিহ্য। ভারতে বসবাসকারী হিন্দু এবং মুসলিমদের পূর্বপুরুষরা একই।
হিন্দু শব্দের ব্যাখ্যা দিয়ে ভাগবত বলেন, আমার মতে, হিন্দু হলো মাতৃভূমি, পূর্বপুরুষ এবং ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যের প্রতীক। হিন্দু কোনো বর্ণ বা ভাষাগত বিশেষ্য নয়। বরং এটা উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য, সবধরনের মানুষের উন্নতি। ভাষা, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে যারা এই (মতাদর্শে) বিশ্বাস করেন, তারা হলো হিন্দু। সেই প্রসঙ্গে আমরা প্রত্যেক ভারতীয়কে হিন্দু হিসেবে বিবেচনা করি।
মুসলমানদের উদ্দেশে ভাগবত বলেন, একে অপরের মত নিয়ে কোনো অসম্মানের জায়গা থাকবে না। তবে মুসলিম আধিপত্যের বিষয়ে নয়, আমাদের ভারতের আধিপত্যের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১
জেএইচটি