ঢাকা: বিশ্বের অন্যতম চর্চিত সম্পর্ক নিয়ে আবার মাথাচাড়া শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা মনিকা লিউনস্কির অবৈধ সম্পর্কটা নিয়ে এক দারুণ গবেষণা শুরু হয়েছে মার্কিন মুলুকে।
আমেরিকায় যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘণ্টা বাজতে শুরু করে দিয়েছে তখনই ফের শিরোনামে উঠে এসেছেন বিল ক্লিনটন। শিরোনামে উঠে আসার কারণ তার চরিত্র। ক্লিনটনকে নিয়ে তৈরি করা একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। এর বিষয় ক্লিনটন-মনিকার সম্পর্কটা কি শুধুই ভালবাসা থেকে নাকি, এর পিছনে বিলের খারাপ চরিত্র দায়ী?
এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন ক্লিনটনের বিভিন্ন সময়ের সহকর্মীরা। রাজনৈতিক জীবনে ক্লিনটনের ‘নারীপ্রীতি’ নিয়ে এই প্রথম খোলাখুলি কথা বলেছেন তার ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরা। প্রামাণ্যচিত্রে তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা মনিকার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে ওই সময়ে নিজেদের অনুভূতির কথা জানাবেন।
ক্লিনটনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রাক্তন উপদেষ্টা ডিক মরিসও ওই প্রামাণ্যচিত্রে তার অনুভূতির বর্ণনা দিয়েছেন। মরিস বলেন, মনিকার সঙ্গে সম্পর্কের সাক্ষ্য-প্রমাণ ফাঁস হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ক্লিনটন তাকে ফোন করেন। ক্লিনটন তাকে ফোনে বলেন, তিনি মনিকার সঙ্গে ঘটনা নিয়ে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। ২৩ বছরের মনিকার সঙ্গে এমন কিছু কাজ করেছেন, যা তাকে বিপদে ফেলতে পারে।
এই প্রামাণ্যচিত্রে মুখ খুলেছেন হোয়াইট হাউসের আইন উপদেষ্টা কেন গোর্মল। তিনি বলেন, মনিকার সঙ্গে বিলের অফিসের সম্পর্কের বাইরেও বেশ কিছু ঘটনা তিনি শুরু থেকেই টের পান। ক্লিনটন আরকানসা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার সঙ্গে কাজ করেছেন মার্লা ক্রাইডার। মার্লার দাবি, তার সঙ্গেও ক্লিনটনের সম্পর্ক ছিল। তিনি বলেন, নারীরা ক্লিনটনের প্রতি ‘সম্মোহিত’ ছিলেন। ‘মধুর খোঁজে ভ্রমরের ঘুরে বেড়ানোর মতো’ বিভিন্ন বয়সের নারীরা ক্লিনটনের কাছে যেতেন। ক্লিনটনের প্রাক্তন রাজনৈতিক সহযোগী বেটসে রাইট বলেন, সারা দিন বিভিন্ন বয়েসের মেয়েরা ক্লিনটনকে খুঁজতে তার কার্যালয়ে আসতেন।
২০ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে এই তথ্যচিত্র প্রচার করা হবে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১২