ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সোনার খনির যে রহস্যের কিনারা হয়নি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২১
সোনার খনির যে রহস্যের কিনারা হয়নি

যুক্তরাষ্ট্রে খনি অঞ্চল হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্য। ১৯ শতকজুড়ে একের পর এক সোনার খনির সন্ধান পাওয়া যায় সেখানে।

তেমনই একটি খনি থেকে উদ্ধার হয় দুটি বল, যার নাম ‘হর্নেট বলস’।  

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন ম্যাগাজিন অ্যাটলাস অবস্কুরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বল দুটি কেন খনিতে ছিল, এর রহস্য এখনও জানা যায়নি। সারা বিশ্বের কাছে এই বল দুটি আজও বিস্ময়।

বড় আকারের কলসের মতো দেখতে বল দুটির ভিতরে ফাঁকা। আর দুপাশে দুটি মুখ লোহার জাল দিয়ে আটকানো। লোহার কাঠামোর ওপর সিমেন্টের আস্তরণ দিয়ে তৈরি বল দুটি সাত ফুট উঁচু। এর পরিধি প্রায় ২০ ফুট। একেকটি বলের ওজন ৬ হাজার ৩৫০ কেজি।  

খনিতে বল দুটি দিয়ে কী করা হতো, তা নিয়ে নানা মত প্রচলিত আছে। অনেকের মতে, খনির আকরিক গুঁড়া করে সোনা আলাদা করতে কাজে লাগানো হতো এগুলো। একটি দণ্ডের দুই পাশে বল দুটি আটকানো হলে এটি যন্ত্রের মতো কাজ করত। ঘোড়া বা কোনো শক্তিশালী প্রাণীর সাহায্যে দণ্ড ঘুরিয়ে বল দুটিকে পেষণ যন্ত্রের মতো ব্যবহার করা হতো।  

আবার কেউ কেউ মনে করেন, খনি থেকে উদ্ধার হওয়া পাথর-আকরিক বলের ভিতরে রেখে তারপর সেটিকে খুব জোরে ঘোরানো হতো। এতে প্রয়োজনীয় বস্তু পাথর থেকে আলাদা হয়ে যেত।

তবে বল দুটি নিয়ে রহস্য এখনও কাটেনি। বলগুলোর নাম রাখা হয় ‘হর্নেট’। এমন নামকরণ নিয়েও ভিন্ন মত রয়েছে। অনেকের মতে, দেখতে অনেকটা ভিমরুলের চাকের মতো হওয়ায় এর নাম রাখা হয়েছে ‘হর্নেট’। ইংরাজিতে ভিমরুলকে ‘হর্নেট’ বলা হয়।

কারও মতে, এর ভিতরে পাথর দিয়ে ঘোরানোর সময় খুব জোর শব্দ তৈরি হয়। ভালোভাবে শুনলে মনে হতে পারে যেন, এক ঝাঁক ভিমরুল উড়ে বেড়াচ্ছে। সে কারণেই এমন নামকরণ বলে মনে করেন অনেকে।

ভার্জিনিয়ার খনি অঞ্চলের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে মনরো পার্কের গোল্ড মাইনিং ক্যাম্প জাদুঘরে। সেখানকার পার্কে ১৯৯৮ সালে রাখা হয় বল দুটি। পর্যটকদের এখনও টানে সেই বল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২১
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।