ঢাকা: আলোচনার মাধ্যমে সিরিয়া সঙ্কট নিরসনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিতে আরব রাষ্ট্রগুলো সিরিয়াতে ভাড়াটে যোদ্ধা পাঠাচ্ছে।
ফ্রান্সে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আলী আহানি গত বৃহস্পতিবার একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এমন দাবি করেছেন।
তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনেক আরব দেশ বিরোধীদের অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে।
ইরানের এই সাবেক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো দাবি করেন, আলোচনা বাধাগ্রস্ত করতে সিরিয়াতে অর্থ, অস্ত্র ও ভাড়াটে যোদ্ধা পাঠানোর তথ্য তাদের কাছে আছে। তবে ভাড়াটে যোদ্ধা আসলে কোন দেশ থেকে পাঠানো হচ্ছে তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
তবে কিছু আরব রাষ্ট্র যে ভাড়াটে যোদ্ধা পাঠাচ্ছে এ ব্যাপারে তারা নিশ্চিত। আর এতে অর্থায়ন করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলও এর সঙ্গে জড়িত আছে বলে দাবি করেছেন আলী আহানি।
উল্লেখ্য, ইরান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র। প্রায় এক বছর ধরে চলা বিক্ষোভে বিরোধীদের প্রাথমিক দাবি অনুযায়ী আসাদ সরকারের সংস্কার প্রস্তাবকে সমর্থন করছে ইরান। তবে এখন বিরোধীরা আসাদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করছে। আন্দোলন অনেকটা সশস্ত্র রূপও পেয়েছে।
আরব দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব ও কাতার সমস্যা সমাধানে আসাদের পদত্যাগের পক্ষে কথা বলছে। তারা সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের সশস্ত্র যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান প্রকাশ্যেই জানাচ্ছে। কিন্তু তবুও সাক্ষাতকারের সময় এই দুই দেশের নাম নেননি ইরানি রাষ্ট্রদূত আলী আহানি।
আরব রাষ্ট্রগুলোর অনভিপ্রেত হস্তক্ষেপ বিরোধী ও আসাদকে আলোচনার টেবিলে বসার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করছে। আর শুধু আলোচনার মাধ্যম্যেই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মত দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চ থেকে শুরু হওয়া আসাদ বিরোধী বিক্ষোভে এ যাবত সাড়ে সাত হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে বলে জাতিসংঘের হিসাবে বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১২