ঢাকা: ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে কিছু উপাদানের মাত্রা কমিয়ে কোমল পানীয় প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বের দুই বৃহৎ পানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোকাকোলা ও পেপসি। সেই সঙ্গে বোতলের গায়ে ক্যান্সারের সর্তকতাযুক্ত লেবেল লাগিয়ে পানীয় বাজারজাত করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সরকার মানবদেহে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় এমন কতকগুলো উপাদান চিহ্নিত করে তার তালিকা প্রস্তুত করেছে। কোকাকোলা ও পেপসির মধ্যে ওই উপাদানগুলোর কয়েকটি সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণে রয়েছে বলে তা পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে অঙ্গরাজ্যের সরকার।
নির্দেশ অনুযায়ী কোকাকোলা ক্যারামেল উপাদান মিথালিমিডাজল-৪ (রাসায়নিক পদার্থ) এর পরিমাণ কমিয়ে পানীয় তৈরির সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ক্যালির্ফোনিয়া সরকার তাদের এই হ্রাসকৃত পরিমাণ অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছে কোকাকোলা কর্তৃপক্ষ।
কোকাকোলার প্রতিনিধি ডায়ানা গারজা সিয়ারলেনেট এ ব্যাপারে বলেন, ‘এই পদক্ষেপের ফলে যদি আমাদের পণ্য মানুষের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি না সৃষ্টি করে তাহলে সরবরাহকারীদের আমরা বলতে পারবো যে, আমাদের পণ্য বৈজ্ঞানিকভাবে স্বাস্থ্য সম্মত হিসেবে প্রমাণিত। ’
এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইঁদুরের ক্যান্সার সৃষ্টির পেছনে মিথালিমিডাজল-৪ এর ভূমিকা রয়েছে। মানুষের ক্যান্সার সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই ধরনের কোনো তথ্য প্রমাণ অবশ্য এখনো মেলেনি।
মার্কিন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে বলা হয়েছে, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য ওই রাসায়নিক যে পরিমাণে ইঁদুরকে দেওয়া হয়েছিল মানুষের ক্ষেত্রে তা প্রমাণ করতে হলে একজন মানুষকে দৈনিক এক হাজার ক্যান কোকাকোলা বা পেপসি পান করতে হবে।
উল্লেখ্য, এক হিসাবে দেখা গেছে, কোমল পানীয়ের প্রায় ৯০ ভাগ বাজার দখল করে আছে কোকাকোলা এবং পেপসি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১২