ঢাকা, রবিবার, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

ফরাসি নারীর মুক্তির আবেদন নাকচ মেক্সিকোতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩৭, মার্চ ২২, ২০১২
ফরাসি নারীর মুক্তির আবেদন নাকচ মেক্সিকোতে

ঢাকা : অপহরণের দায়ে ৬০ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত ফরাসি নারীর মুক্তির আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়েছে মেক্সিকোর সুপ্রিম কোর্টে। তবে আদালত তার প্রতি মেক্সিকোর পুলিশ ও বিচার বিভাগের করা বিরূপ আচরণকে আমলে নিয়ে এই মামলায় পুনরায় বিচারের সম্ভাবনাকেও নাকচ করেনি।

৩৭ বছর বয়সী ফরাসি নারী ফ্লোরেন্স ক্যাসেজকে ২০০৫ সালে মেক্সিকো সিটির নিকটবর্তী একটি র‌্যাঞ্চ থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই র‌্যাঞ্চ থেকে একই সময় অপহরণের শিকার হওয়া আরো বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৬০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে মেক্সিকোর একটি আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে মেক্সিকোর সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেয়।

এদিকে ফরাসি সরকার আদালতের এই সিদ্ধান্তে  দুঃখ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।

মেক্সিকোর সুপ্রিম কোর্টের একটি রিভিউ প্যানেল রায় দেয় যে ফ্লোরেন্স ক্যাসেজকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া উচিত হবে না। তবে আদালত একই সঙ্গে জানায় গ্রেফতারের সময় এবং পরবর্তীতে বিচারের সম্মুখীন করার সময় মেক্সিকোর পুলিশ তার সঙ্গে যথাযথ ব্যবহার করেনি এবং একজন আসামি হিসেবে তার অধিকারগুলোকেও এসময় লঙ্ঘন করা হয়েছে।

তবে ফ্লোরেন্স ক্যাসেজ অপহরণের দায় প্রত্যাখ্যান করে  দাবি করেন ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা এটুকুই যে তিনি এক অপহরণকারীর বান্ধবী ছিলেন।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফ্রান্স এবং মেক্সিকোর মধ্যে শুরু হয়েছে কূটনৈতিক টানাপোড়ন। এ ঘটনার  প্রতিক্রিয়ায় গত বছর প্যারিসে মেক্সিকোর একটি উচ্চ পর্যায়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়।

অধিকাংশ ফরাসিই মনে করে ক্যাসেজ নির্দোষ এবং তিনি মেক্সিকোর আদালতের অন্যায় বিচারের শিকার।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজিও ক্যাসেজের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে তাকে অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে দণ্ডিত নারীর মা চ্যারলোট্টে বলেছেন, তিনি মেক্সিকোর আদালতের এ সিদ্ধান্তে চরম হতাশাগ্রস্ত। তিনি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।

তবে এই নারীর বিচারকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মেক্সিকোর সাধারণ মানুষের মনোভাব কিছুটা ভিন্ন। তারা মনে করছে বিদেশি এবং পশ্চিমা নাগরিক হওয়ার কারণে ওই নারী কর্তৃপক্ষের কাছে অধিক খাতির পাচ্ছে।

তবে মেক্সিকোর শীর্ষ কর্তা ব্যক্তিদের অনেকেই এমনকি প্রেসিডেন্ট ফেলিপ ক্যালদেরন পর্যন্ত আক্রান্তদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তির দিকে লক্ষ্য রেখে বিচার করার জন্য আদালতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মেক্সিকোতে অপহরণের হার পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অনেক ক্ষেত্রেই মুক্তিপণ পরিশোধ হলেও অপহরণকৃতদের হত্যা করা হয়।

বাংলাদেশ সময় : ১৭০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১২

সম্পাদনা : রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।