ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

কিছু ভালো অভ্যাস

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২৩
কিছু ভালো অভ্যাস

কিছু ভালো অভ্যাস রয়েছে যা আমাদের নিজেদের চর্চা করতে হবে এবং আশপাশের সবাইকে বিশেষ করে শিশুদের চর্চা করতে বলতে হবে। আবার কিছু কাজ করা থেকে নিজেদের ও আশপাশের সবাইকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে।

অন্যদিকে, শিশুরা অনুকরণপ্রিয় তাই নিজেরা কিছু বিধি-নিষেধ মেনে, সঠিক পথে চলে, তাদের শিক্ষা দেওয়া খুব জরুরি।

কিছু কাজ করে, আবার কিছু কাজ না করে আমরা পেতে পারি অশেষ সওয়াব, হতে পারি আল্লাহর প্রিয় বান্দা।

নিচে উল্লেখ করা হলো এমনই কিছু বিধি-নিষেধ:

** মুসলমানদের সম্ভাষণ জানাতে হবে হাসি মুখে সালাম (আসসালামু আলাইকুম) দিয়ে।

** আমরা যখন হাঁচি দিই, তখন শয়তান দূরে নিক্ষিপ্ত হয়। তাই এ সময় বলতে হয়- আলহামদুলিল্লাহ।

** যখন আমরা হাই তুলি, মূলত শয়তান তখন আমাদের ভেতরে ঢোকে। তাই বলতে হয়- লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

** খাওয়ার সময় ঢেঁকুর তোলা আল্লাহ অপছন্দ করেন, কিন্তু এ কাজ শয়তানের খুব পছন্দ। তাই এ কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

** নিজে খারাপ কাজ করা থেকে বিরত থাকি এবং অন্যকেও বিরত রাখার চেষ্টা করি- আশা করা যায় এতে আল্লাহ খুশি হবেন।

** নিজের খাবার থেকে দরিদ্র ও ক্ষুধার্তকে কিছু দিই-কারণ আমাদের সবার একটু একটু সাহায্যই গড়তে সাহায্য করবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী। আর এটা আমাদের ভালো কাজের সংখ্যা বাড়াবে এবং আল্লাহর সামনে আমাদের ভালো মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করবে।

** সব কাজ বন্ধ রেখে সময়মতো সালাত আদায় করি, কারণ শয়তান আমাদের বেহেশতে যাওয়া রুখতে চায়। সময়মতো পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ইসলামে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
 
** সালাত আদায় করার সময় শয়তান হয়তো আমাদের মাথায় খারাপ চিন্তা আনতে পারে, তাই এ সময় শুধুই সালাতের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

** কাউকে কষ্ট দেওয়া বা কাউকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করা উচিৎ নয়, কারণ এসব শয়তানের কাজ। বরং সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে এবং সবাইকে সম্মান করতে হবে।

** চুরি করা খুব খারাপ অভ্যাস, চুরি করলে কেউ তাকে বিশ্বাস করেনা এবং সে শয়তানের দলে অন্তর্ভুক্ত হয়।

** আমরা সবাই যেন বাবা-মাকে ভালবাসি, কারণ তারা আমাদের খাইয়েছেন, সাধ্যমতো মিটিয়েছেন সব চাহিদা, তার চেয়েও বড় কথা তারা আমাদের অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন।   

** রাগ-ক্রোধকে সংবরণ করি, কারণ রাগলে আমরা কাউকে আঘাত করতে পারি বা অপমান করতে পারি, তাই ইসলামে ক্রোধকে হারাম করা হয়েছে।

** বিড়াল দেখলে ভয় পাওয়া বা বিড়ালকে আঘাত করা থেকে বিরত থাকি, কারণ মুহম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সা.) নিজে বিড়াল ভালোবাসতেন এবং অন্যদেরও বিড়ালকে আদর করতে বলতেন।

** একতাই শক্তি, তাই নিজেদের ভাতৃত্ববোধ শক্তিশালী করতে হবে।

** যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা ঠিক না, কারণ এটা সেই দুষ্টু শিশুর মতো কাজ, যে কোনো আচরণই জানে না। এছাড়া পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ।

** গ্রহ-নক্ষত্র, চাঁদ, সূর্য, তারা, মানুষ এবং এ মহাবিশ্বের সবকিছুই মহান আল্লাহর সৃষ্টি, তাই সব সময় আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ থাকতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।