ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

যার যার সঙ্গে ঈর্ষা করা যায়

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৪
যার যার সঙ্গে ঈর্ষা করা যায়

প্রজ্ঞা বা হিকমত মহান আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ এই নিয়ামতের ব্যাপারে বলেন, ‘তিনি যাকে চান প্রজ্ঞা দান করেন।

আর যাকে প্রজ্ঞা দেওয়া হয়, তাকে অনেক কল্যাণ দেওয়া হয়। আর বিবেকসম্পন্ন ব্যক্তিরাই উপদেশ গ্রহণ করে। ’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৬৯)

মহানবী (সা.) ও এই নিয়ামতকে সর্বোত্কৃষ্ট নিয়ামত বলে আখ্যা দিয়েছেন। এবং এই নিয়ামতের ব্যাপারে ঈর্ষা করা জায়েজ বলেছেন। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি মহানবীকে (সা.) বলতে শুনেছি কেবল মাত্র দুই ধরনের ব্যক্তির প্রতি ঈর্ষা রাখা যেতে পারে। একজন এমন ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন এবং ন্যায় পথে তা ব্যয় করার মতো ক্ষমতাবান করেছেন। অপরজন এমন ব্যক্তি, যাকে আল্লাহ দ্বিনের জ্ঞান (প্রজ্ঞা) দান করেছেন (আর তিনি) সে অনুযায়ী ফায়সালা দেন ও অন্যকে তা শিক্ষা দেন। (বুখারি, হাদিস : ১৪০৯)

তাই এই মহামূল্যবান নিয়ামত অর্জনের চেষ্টা করা এবং অর্জন হলে তার শুকরিয়া জ্ঞাপন করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য আবশ্যক। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি লুকমানকে প্রজ্ঞা দান করেছিলাম। (তাকে বলেছিলাম) যে তুমি আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, সে তা নিজের কল্যাণেই করে। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে (সে জেনে রাখুক যে) আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, প্রশংসিত। ’ (সুরা : লুকমান, আয়াত : ১২)

প্রজ্ঞা বা হিকমত দিয়ে মানুষকে আলোর পথে আনা যায়। তাই মহান আল্লাহ মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করার ক্ষেত্রেও প্রজ্ঞার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি তোমরা রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করো এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সঙ্গে বিতর্ক করো। ’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১২৫)

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৪
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।