ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১ জিলকদ ১৪৪৬

ইসলাম

অভাব-অনটন দূর করতে পাঠ করবেন যে সুরা  

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭:৩৫, এপ্রিল ২৯, ২০২৫
অভাব-অনটন দূর করতে পাঠ করবেন যে সুরা  

দারিদ্র্য মানুষকে অনেক সময় বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে নিতে পারে। দারিদ্র্যের কারণে জীবনে নেমে আসে ক্লিষ্টতা ও দুঃখ-যাতনা।

ফলে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি চায় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রত্যেকেই নিজ উদ্যোগে সর্বাত্মক চেষ্টা করে দারিদ্র্যের করালগ্রাস থেকে মুক্ত ‍থাকতে। কারো চেষ্টা ফলপ্রসূ হয় আর কারোটা বিফলে যায়।

দারিদ্র্য ও অভাব দূরকরণে ইসলামের প্রচুর নির্দেশনা রয়েছে। বিভিন্ন আমলের কথা বলা হয়েছে।

বিভিন্ন সুরা পাঠের কথা রয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সুরা ওয়াক্বিয়াহ তেলাওয়াত করবে তাকে কখনো দরিদ্র্য স্পর্শ করবে না। হজরত ইবনে মাসউদ [রা.] তাঁর মেয়েদের প্রত্যেক রাতে এ সুরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন। (বাইহাকি: শুআবুল ঈমান-২৪৯৮)
অন্য হাদিসে আছে, নিয়মিত সুরা আর রাহমান, সুরা হাদিদ ও সুরা ওয়াক্বিয়ার তেলাওয়াতকারীকে কেয়ামতের দিন জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিবাসী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

অন্য এক হাদিসে আছে, সুরা ওয়াক্বিয়াহ হলো বিত্ত-বৈভবের সুরা। সুতরাং তোমরা নিজেরা তা পড় এবং তোমাদের সন্তানদেরও এ সুরার শিক্ষা দাও। অন্য এক বর্ণনায় আছে, তোমাদের নারীদের এ সুরা শিক্ষা দাও। হজরত আয়েশাকে (রা.) এ সুরা তেলাওয়াত করার জন্য আদেশ করা হয়েছিল।

বর্ণিত আছে, মৃত্যুর সময় আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদকে (রা.) যখন তার সন্তানদের জন্য একটি দিনারও রেখে না যাওয়ার কারণে তিরষ্কার করা হলো, তখন তিনি উত্তরে বলেছিলেন, তাদের জন্য আমি সুরা ওয়াক্বিয়া রেখে গেলাম। (ফয়জুল কাদির-৪/৪১)

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।