ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

অকৃতজ্ঞ মানুষ জাহান্নামি

মাওলানা আবদুল জাব্বার, অতিথি লেখক, ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৬
অকৃতজ্ঞ মানুষ জাহান্নামি

কিয়ামতের দিন দুনিয়ার সব মানুষ ও জ্বীন জাতিকে একত্রিত করা হবে। তাদের সব নেক ও বদ আমলের চূড়ান্ত হিসাব হবে।

এরপর তাদের সকলেরই জান্নাত ও জাহান্নামের ফয়সালা হয়ে যাবে। যারা জান্নাত লাভ করবে তারা চিরকাল জান্নাতে থাকবে, আর যারা জাহান্নাম লাভ করবে তারা চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে।

কথাগুলো পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা এভাবে বর্ণনা করেছেন, ‘যে দিন তোমাদের আগে পরের সব মানুষ ও জ্বীন জাতিকে একত্র করা হবে একত্র করা হবে সে মহাসমাবেশের দিনটির জন্য, যেদিন বলা হবে, হে মানুষ ও জ্বীন! আজকের দিনটিই হচ্ছে তোমাদের আসল লাভ লোকসানের দিন; লাভের দিন তার জন্য যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে, তিনি আজ তার গোনাহ মোচন করে দিবেন এবং তাকে তিনি এমন এক সুরম্য জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত হবে, তারা সেখানে অনন্তকাল অবস্থান করবে; আর এটাই হচ্ছে পরম সাফল্য। এটা লোকসানের দিন তাদের জন্যে যারা আল্লাহতায়ালাকে অস্বীকার করেছে এবং আমার আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে এদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হচ্ছে, এরা সবাই জাহান্নামের অধিবাসী হবে এবং সেখানে তারা চিরকাল অবস্থান করবে; কতো নিকৃষ্ট সেই আবাসস্থল!’ –সূরা আত তাগাবুন : ৯-১০

শেষ বিচারের দিন জাহান্নামের চূড়ান্ত ফয়সালা যাদের জন্য হবে তাদের মাঝে আল্লাহতায়ালার নিয়ামতের অকৃতজ্ঞকারীরা থাকবেন। অর্থাৎ যারা দুনিয়ায় আল্লাহর দেওয়া নিয়ামতসমূহের কথা অস্বীকার করে এবং তার কৃতজ্ঞতা আদায় করে না- তারা জাহান্নামী।

বিচিত্র এই দুনিয়ার দিকে একটু তাকালে, এসব নিয়ে একটু চিন্তা-বিবেচনা করলে খুব সহজেই বুঝা যায়, আল্লাহতায়ালা মানুষের জন্য অসংখ্য নিয়ামত দিয়ে এই দুনিয়া ভরপুর করে রেখেছেন। মানুষের শরীরের এক একটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত। প্রকৃতির মধ্যে সৃষ্ট যেমন- চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র এগুলো সবই মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্ট নিয়ামত। প্রতিটি উদ্ভিদ ও প্রাণী মানুষের কোনো না কোনো কল্যাণে নিয়োজিত। ফল-ফুল, শস্য ও ফসলে ভরপুর এই সমগ্র বিশ্বের প্রতিটি জিনিস মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত।

যারা এই নিয়ামতের অকৃতজ্ঞকারী তাদের সম্পর্কে আল্লাহ্ বলছেন, ‘(হে নবী!) আপনি কি তাদের অবস্থা পর্যক্ষেণ করেননি, যারা আল্লাহতায়ালার নেয়ামত অস্বীকার করার মাধ্যমে (তা) বদলে দিয়েছে, পরিণামে তারা নিজেদের জাতিকে ধ্বংসের (এক চরম) স্তরে নামিয়ে এনেছে। জাহান্নামের অতলে (সেখানে) তারা সবাই প্রবেশ করবে, কত নিকৃষ্ট সেই বাসস্থান! এরা আল্লাহতায়ালার জন্য কিছু সমকক্ষ উদ্ভাবন করে নিয়েছে, যাতে করে তারা (সাধারণ মানুষকে) তার পথ থেকে বিভ্রান্ত করতে পারে; (হে নবী! এদের) আপনি বলুন (সামান্য কিছুদিনের জন্যে) তোমরা ভোগ করে নাও, অতঃপর (অচিরেই জাহান্নামের) আগুনের দিকে তোমাদের ফিরে যেতে হবে। ’ -সূরা ইবরাহিম : ২৮-৩০

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘন্টা, মে ২৯, ২০১৬
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।