ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ইসলামকে জঙ্গিবাদের জন্য দায়ী করা যাবে না: পোপ ফ্রান্সিস

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৬
ইসলামকে জঙ্গিবাদের জন্য দায়ী করা যাবে না: পোপ ফ্রান্সিস ছবি: সংগৃহীত

ইসলাম নয় বরং সামাজিক অবিচার ও দুর্বল বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা বিশ্বব্যাপী চলমান সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন ক্যাথলিক বিশ্বের নেতা পোপ ফ্রান্সিস।

পোল্যান্ডের কারাকো বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রোববার (৩১ জুলাই)  তিনি এসব কথা বলেন।

পাঁচ দিনের পোল্যান্ড সফর শেষে রোববার ভ্যাটিকানে ফেরেন তিনি।

পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ইসলাম একটি জঙ্গি ধর্ম বা ইসলাম জঙ্গিবাদের উত্থানের জন্য দায়ী, এমন কথা বলা উচিত নয়। কোনো ধর্মই সহিংসতাকে একচ্ছত্রভাবে সমর্থন করে না।

সম্প্রতি ফ্রান্সে ইসলামিক স্টেট নামধারী সংগঠন কর্তৃক একটি চার্চের ফাদার নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে পোপকে এই প্রশ্ন করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, জঙ্গি হামলার সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। বর্তমান অর্থনীতি ‘অর্থই ঈশ্বর’ মেনে চলায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষ বিশ্বাসের স্থান হারিয়ে ফেলছে। ফলে বেশ দ্রুত সে হতাশ হয়ে যাচ্ছে।

আন্তঃধর্মীয় সংলাপে ইসলাম সম্পর্কে আলোচনাকে প্রতিপাদ্য করে তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম হিসেবেই তার অনুসারীদের কাছে পরিচিত। তারা কখনই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না।

তিনি আরও বলেন, যদি ইসলামের হিংস্রতা নিয়ে আমাকে কথা বলতে বলা হয়, তাহলে ক্যাথলিকদের হিংস্রতা নিয়েও আমাকে কথা বলতে হবে। সকল ক্যাথলিকরা যেমন হিংস্র নয়, তেমনি সকল মুসলমানেরাও হিংস্র নয়। তিনি ইসলামিক স্টেটকে ‘ছোট্ট একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, তারা মূল ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের প্রতিনিধিত্ব করছে না।

এ সময় তিনি বলেন, সকল ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যেই একটি ছোট্ট মৌলবাদী গোষ্ঠী থাকে। ক্যাথলিকদের মধ্যেও আছে। ক্যাথলিকরা হয়ত সরাসরি হত্যা করছে না। কিন্তু মনে রাখা উচিত, আপনি ছুরি দিয়ে যেমন মানুষ হত্যা করতে পারেন, তেমনি কথা দিয়েও মানুষ হত্যা করতে পারেন।

বিমানে থাকাকালে পোপ ফ্রান্সিস তার সঙ্গে থাকা রিপোর্টারদের জানান, বর্তমানে চলা যুদ্ধ অনেকটা গত শতকে হয়ে যাওয়া বিশ্বযুদ্ধের মতোই।

আলাপাচারিতায় সন্ত্রাসবাদের নানা কারণ উল্লেখ করে পোপ বলেন, যখন অন্য কোনো বিকল্প থাকে না, যখন বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রে মানুষের বদলে অর্থ বসে, তখন সন্ত্রাসবাদ বাড়ে। এটিই সন্ত্রাসবাদের প্রাথমিক রূপ। এটিই সব মানবতার বিরুদ্ধে মৌলিক সন্ত্রাসবাদ। এটিই বঞ্চিতদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয়।

পোপ বলেন, ইউরোপের বহু তরুণ রয়েছে যাদের কোনো কাজ নেই; এক পর্যায়ে তারা মদ ও মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে এবং তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী দলে যোগ দেয়। তাদের সঠিক পথে ফেরাতে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।

-আরব নিউজ অবলম্বনে

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।