বস্তুত ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কোরআনে কারিম তেলাওয়াত করে কিংবা কালিমা তায়্যিবা বা কোনো তাসবিহ কিংবা জিকির করে কোনো ধরনের বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয নেই।
হাদিস শরীফে এসেছে, হজরত আবদুর রহমান ইবনে শিবল (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা কোরআনের বিনিময় গ্রহণ করো না এবং এর দ্বারা সম্পদ বৃদ্ধি করো না।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা কোরআন পড়ো এবং বিনিময় আল্লাহতায়ালার কাছে চাও। তোমাদের পরে এমন জাতি আসবে, যারা কোরআন পড়ে মানুষের কাছে বিনিময় প্রত্যাশ করবে। -মুসনাদে আহমাদ: ১৯৯১৭
আরেক বর্ণনায় আছে, তাবেয়ি যাযান (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি কোরআন পড়ে মানুষ থেকে এর বিনিময় গ্রহণ করে সে যখন হাশরের মাঠে উঠবে তখন তার চেহারায় কোনো গোশত থাকবে না। শুধু হাড্ডি থাকবে। -মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৭৮২৪
বর্ণিত এসব হাদিসের আলোকে ইসলামি স্কলাররা বলেন, কোনো কিছুর বিনিময়ে ঈসালে সওয়াবের জন্য কোরআন তেলাওয়াত করলে কিংবা কোনো জিকির করলে কোনো সওয়াব হবে না। বরং বিনিময় নিয়ে পড়ার কারণে টাকাদাতা ও গ্রহীতা উভয়ে গোনাহগার হবেন।
উল্লেখ্য, যদি শুধু তেলাওয়াতকারী বা তাহলিল পাঠকারীর জন্যই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়- তাহলে তা বিনিময় হিসেবে গণ্য হবে এবং পাঠকারীর জন্য তা খাওয়া নাজায়েয হবে।
আর যদি ব্যাপকভাবে দাওয়াতের আয়োজন করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে খতম পাঠকারীদের জন্য খাবার খাওয়াটা বিনিময় হিসেবে গণ্য হবে না।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এমএইউ/